চলতি মরশুমে মার্কোসকে দলে এনে বড় চমক দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। রবিবার বিকেলে ৩৩ বছরের এই স্পেনীয় স্ট্রাইকার কলকাতা এসে পৌঁছন। ছ’ফুট এক ইঞ্চির এই স্ট্রাইকার গত মরসুমে স্পেনের দ্বিতীয় ডিভিশনের দল দেপোর্তিভো আতলেতিকো দে বালিরেস-এ খেলতেন। আজ থেকে অনুশীলন করবেন তিনি।
ইস্টবেঙ্গলের স্পেনীয় কোচ আলেহান্দ্রো মেনেন্দেস দলের আক্রমণ ভাগ জোরদার করতেই অতীতে এশিয়ায় খেলে যাওয়া এই স্ট্রাইকারকে দলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আই লিগে শুরু থেকেই যাতে লাল-হলুদ শিবিরের আক্রমণ ভাগ জোরদার থাকে, সেই কারণেই মধ্য অগস্টেই দলের সঙ্গে যোগ দিলেন এই স্পেনীয় ফুটবলার। তবে কলকাতা লিগে খেলবেন না তিনি।
ইস্টবেঙ্গল কোচের মতো সমর্থকেরাও আশাবাদী, এ বার কলকাতায় খেলতে এসে সমর্থকদের নিরাশ করবেন না স্পেনের এই স্ট্রাইকার। মার্কোস নিজেও লাল-হলুদ জার্সি গায়ে তাঁর ইনিংস শুরু করার ব্যাপারে সমান আত্মবিশ্বাসী। রবিবার বিকেলে দমদম বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে গিয়েছিলেন জনা পঞ্চাশেক ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। তাঁদের কাছ থেকে পুষ্পস্তবক গ্রহণ করেন তিনি। ভক্তদের সঙ্গে নিজস্বীও তোলেন লাল-হলুদ শিবিরের নবাগত এই স্পেনীয় ফুটবলার।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলে যান, ‘‘ইস্টবেঙ্গল ঐতিহাসিক ক্লাব। এই ক্লাবের বড় ঐতিহ্য রয়েছে। সোমবার থেকে অনুশীলনে নামব। আশা করছি, দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সমস্যা হবে না।’’ দীর্ঘ বিমানযাত্রার জন্যই ক্লান্তির কারণে কথা বাড়াননি তিনি।
ইস্টবেঙ্গলে বিদেশি হিসেবে ইতিমধ্যেই রয়েছেন বোরখা গোমেস পেরেস, কাশিম আইদারা, খাইমে সান্তোস কোলাদো, মার্তি ক্রেসপিরা। যাঁরা দলকে তুলে নিয়ে গিয়েছেন ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে। যেখানে আলেসান্দ্রো মেনেন্দেসের দলের প্রতিপক্ষ গোকুলম। রবিবার সকালে যুবভারতী সংলগ্ন মাঠে সেই দ্বৈরথের জন্য প্রস্তুতি সারল ইস্টবেঙ্গল। আলেহান্দ্রোর স্বস্তি, তাঁর দলে বিদেশিদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গোল করছে ভারতীয় ফুটবলাররাও।