গত ৫ আগস্টই সংসদে ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খারিজের ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পাশাপাশি কাশ্মীর থেকে লাদাখকে বিচ্ছিন্ন করে দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করার দাবি জানিয়ে বিলও আনেন। যা সংখ্যাগরিষ্ঠতার বলে সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হওয়ার পর এখন পৃথক রাজ্যের মর্যাদা পাচ্ছে লাদাখ। তবে শুধু পৃথক রাজ্যেই সন্তুষ্ট না থেকে নিজেদের স্বতন্ত্র পরিচিতি রক্ষায় লাদাখকে উপজাতি এলাকা ঘোষণার দাবি উঠল এবার৷ ইতিমধ্যেই এ নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছেন সেখানকার স্থানীয় নেতারা। লাদাখের বাসিন্দাদের জমি ও স্বতন্ত্র স্বত্তা বজায় রাখার স্বার্থে গোটা এলাকাকে সংবিধানের ষষ্ঠ তফশিলের আওতায় উপজাতি এলাকা ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, ৩৭০ ধারা বাতিল এবং লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। কিন্তু তারপরেও তাঁরা এখন অস্তিত্ব সংকটের আশঙ্কায় ভুগছেন। তাঁদের আশঙ্কা, ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার ফলে বহিরাগতদের প্রবেশের পথ খুলে যাবে। আর তা হলে অদূর ভবিষ্যতে গোটা এলাকার ভূবৈচিত্রই বদলে যাবে। যার জেরে লাদাখের নিজস্ব সংস্কৃতি ও পরিচিত ঝুঁকির মুখে পড়বে। এই আশঙ্কা থেকেই স্থানীয় সাংসদের তরফে কেন্দ্রীয় উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডাকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের নিজস্ব পরিচিতি, সংস্কৃতি, জমি ও অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষার তাগিদে লাদাখকে ষষ্ঠ তফশিলের আওতায় আদিবাসী অঞ্চল ঘোষণা করা হোক। কারণ এখানে বাসিন্দাদের ৯৮ শতাংশই উপজাতি।