প্রথম মোদী সরকারের আমল বারবারই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার শিকার হয়েছে এ রাজ্য। সেই ধারা বজায় রয়েছে মোদী সরকারের দ্বিতীয় ইনিংসেও। তাদের পেশ করা প্রথম সাধারণ বাজেটে বাংলার জন্য কোনও বিশেষ প্রকল্পের ঘোষণা তো হয়ইনি, বরং রাজ্যের বেশ কিছু চলতি প্রকল্পে বরাদ্দ শুন্য করে দেওয়া হয়েছে। এমনকী রেল বাজেটেও বাংলায় ‘বঞ্চনা এক্সপ্রেস’ ছুটিয়েছে মোদী সরকার। আর এবার আন্তঃরাজ্য পরিষদ(ইন্টার স্টেট কাউন্সিল)-এর স্থায়ী কমিটিতেও ব্রাত্য বাংলা।
কমিটিতে ৪ অ-বিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জায়গা পেলেও বাদ পড়লেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতবারও ঠিক এভাবেই বাদ দেওয়া হয়েছিল মমতার নাম। অমিত শাহর নেতৃত্বাধীন ১৩ সদস্যের এই কমিটিতে ঠাঁই হয়েছে ৪ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, জগন্মোহন রেড্ডি, অমরিন্দর সিং এবং নীতিশ কুমার। এঁদের মধ্যে প্রকৃত অর্থে বিরোধী শিবিরের লোক একমাত্র পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংই।
প্রসঙ্গত, সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই এই আন্তঃরাজ্য পরিষদের সদস্য। বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যেকার সমস্যা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পরামর্শ দেয় এই কাউন্সিল। সারকারিয়া কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সংবিধানের ২৬৩ ধারায় রাষ্ট্রপতির আদেশে ১৯৯০ সালের ২৮ মে প্রথম এই পরিষদ গঠিত হয়। আর স্থায়ী কমিটিকে এক কথায় এই পরিষদের ‘পরামর্শদাতা কমিটি’ বলা যায়। পরিষদে কী কী বিষয় আলোচিত হবে তা ঠিক করে স্থায়ী কমিটি। এই কমিটির মাথায় থাকেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
গত বুধবার এই পরিষদের পুনর্গঠন হয়েছে। শুক্রবার গঠিত হয় স্থায়ী কমিটি। গতকাল এ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সরকার। পদাধিকার বলে কমিটির চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সদস্য হয়েছেন অমিত শাহ, নির্মলা সীতারমণ, রাজনাথ সিং, নরেন্দ্র সিং তোমর থাওরচাঁদ গেহলট, হরদীপ সিং পুরী এবং সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। এছাড়া নীতিন গাডকরি, রবিশঙ্কর প্রসাদের মতো ১০ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে পরিষদের আমন্ত্রিত সদস্য করা হয়েছে।