একে অপরকে ভালবেসেছিল তাঁরা দুজন। কিন্তু মেনে নেয়নি পরিবার, সমাজ। কারণ মেয়েটি ছিল দলিত। আর তাই নিজেদের ভালবাসার জোরে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল সেই দুজন। আর সেই ‘অপরাধেই’ দলিত নাবালিকাকে হেনস্থা করা হল। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার অন্ধ্রপ্রদেশের অনন্তপুর জেলার কেপি ধোড্ডি গ্রামে।
সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে শুক্রবার ঘটনাটির ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। ১৭ বছরের দলিত নাবালিকাকে বৃহস্পতিবার মারধর করে ৭০ বছরের বোয়া লিঙ্গাপ্পা। সালিশি সভায় এই কাণ্ড ঘটে। সম্পর্কে লিঙ্গাপ্পার আত্মীয় সাই কিরণ (২০)–এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে ওই দলিত নাবালিকার। সালিশি সভাতেই নাবালিকাকে মারধর করে লিঙ্গাপ্পা। এমনকি পরিবারের সম্মানহানির জন্য কিরণকেও হেনস্থা করে ৭০ বছরের সেই বৃদ্ধ।
দীর্ঘদিন ধরেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল দু’জনের। এর আগেও তাঁরা একবার পালিয়েছিল। কিন্তু পরিবারের লোকেরা তাঁদের গ্রামে ফিরিয়ে আনে। সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য দু’জনকেই সাবধান করা হয়। কিন্তু প্রেমিক–প্রেমিকা ছিল নাছোড়বান্দা। সালিশি সভাতেই ওই দলিত নাবালিকা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে অস্বীকার করে। তখনই লিঙ্গাপ্পা চড় মারতে শুরু করে দলিত মেয়েটিকে। লাঠি দিয়েও মারা হয় নাবালিকাকে। আত্মীয়কেও হেনস্থা করে লিঙ্গাপ্পা। জানা গেছে দশদিন আগে পালিয়েছিল দু’জনে। তখন দলিত নাবালিকার মা–বাবাই লিঙ্গাপ্পার কাছে সাহায্যের জন্য হাজির হয়েছিল। তাই দু’জনে গ্রামে ফিরতেই সালিশি সভার আয়োজন করে লিঙ্গাপ্পা।
এই ঘটনায় অবশ্য পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। ভিডিওটি দেখার পর পুলিশ অবশ্য স্বতঃপ্রণোদিতভাবে লিঙ্গাপ্পার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। কিন্তু অভিযুক্তকে এখনও গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। তবে গ্রামবাসীরা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ফের থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। গ্রামবাসীরা দাবি করেছেন, এটা পারিবারিক বিষয়। তাই এখানে পুলিশ মাথা না ঘামালেই ভাল।