প্রথমার্ধে বেঙ্গালুরুর বাচ্চা ছেলেগুলোর সামনে সেভাবে দাঁড়াতেই পারেনি ইস্টবেঙ্গল। চোট সারিয়ে ফেরা স্যান্টোস কোলাডো বেঙ্গালুরুর গোলের সামনে বেশি কার্যকর না হওয়ায় দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পরিবর্ত হিসেবে বিদ্যাসাগর সিংকে নামান ইস্টবেঙ্গল কোচ আলেহান্দ্রো মেনেন্ডেজ। আর তাঁর এই সুপার সাবই ডুরান্ডে লাল-হলুদের দৌড় জারি রাখল। প্রথমার্ধে পিছিয়ে থেকেও এই তরুণ বিদ্যাসাগরের জোড়া গোলেই বেঙ্গালুরুকে হারালো ইস্টবেঙ্গল। সেই সঙ্গে ৩ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে পৌঁছে গেল ডুরান্ডের সেমিফাইনালে।
এ দিন শুরু থেকেই ছিল আক্রমণ-প্রতিআক্রমণের খেলা। বেঙ্গালুরু দলে বড় নাম না থাকলেও অ্যাকাডেমির তরুণ ফুটবলাররা দারুণ খেলছিলেন। তাঁদের গতির সঙ্গে পেরে উঠছিল না লাল-হলুদ। অন্যদিকে নিজেদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বল ধরে খেলার চেষ্টা করছিল ইস্টবেঙ্গল। ফলে প্রথম থেকেই বক্স টু বক্স আক্রমণের খেলা চলছিল। দু’দলই সুযোগ তৈরি করলেও গোল আসছিল না। চোট সারিয়ে ফেরা কোলাডোকে কিছুটা নিষ্প্রভ দেখাচ্ছিল। তবে লাল-হলুদের দুই প্রান্ত ধরে বারবার আক্রমণে উঠছিলেন কমলপ্রীত সিং ও অভিষেক আম্বেকর। মাঝমাঠে ভালো খেলছিলেন লালরিনডিকা রালতেও।
১৭ মিনিটের মাথায় গতিকে কাজে লাগিয়ে ইস্টবেঙ্গল বক্সে উঠে বল বাড়ান বেঙ্গালুরুর রাইট উইং। লালরিন্ডিকার শট বারে লেগে ফিরলে চলতি বলে বাঁ পায়ের শটে গোল করে বেঙ্গালুরুকে এগিয়ে দেন অজয় ছেত্রী। তারপরেই ঝাঁপিয়ে পরে আলেহান্দ্রোর ছেলেরা। যদিও প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আর গোল আসেনি। ১ গোলে পিছিয়ে থেকেই ড্রেসিংরুমে ফেরে লাল-হলুদ।
দ্বিতীয়ার্ধে নিজের প্ল্যান বি কাজে লাগালেন ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচ। নামালেন বিদ্যাসাগরকে। আর সেই চালেই মাত হল বেঙ্গালুরুর তরুণরা। দ্বিতীয়ার্ধের ১৫ মিনিটের মধ্যেই প্রথম গোল দিলেন তিনি। আর তারপরেই শুরু হয় প্রতিপক্ষের ওপর চাপ দেওয়া। আর সেই চাপেই ভেঙে পড়ে বেঙ্গালুরুর ডিফেন্স। সেই সুযোগেই আরও একটি গোল চাপিয়ে দেয় ইস্টবেঙ্গল। আর এবারও সেই বিদ্যাসাগর। শেষ ১০ মিনিটে বেঙ্গালুরু মরিয়া চেষ্টা করলেও আর সফল হয়নি। শেষ অবধি ২-১ গোলে ম্যাচ জিতে ডুরান্ডের সেমিফাইনালে পৌঁছায় লাল-হলুদ ব্রিগেড।