এনসেফেলাইটিসের কারণে বিহারে যখন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছিল শিশুমৃত্যুর ঘটনা। তখন বেপাত্তা হয়ে যাওয়া বিহারের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদবকে নিয়ে মুজফফরপুরে এক পোস্টার পড়েছিল। যেখানে বলা হয়েছিল, লালু-পুত্র তেজস্বী সম্পর্কে কোনও খোঁজ দিতে পারলেই ৫,১০০ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। একইরকম পোস্টার পড়েছিল লোক জনশক্তি পার্টি সুপ্রিমো রামবিলাস পাসোয়ানের নামেও। এবার পোস্টার পড়ল যোগীরাজ্যের বিজেপি সাংসদ মহেশ শর্মা ও বিধায়ক তেজপাল সিং নগরের নামে।
রাস্তার বেহাল দশা, জলের নীচে ডুবে রয়েছে গোটা এলাকা। ‘বিকাশ’ শব্দটা ভোটের আগে যেভাবে শোনা যাচ্ছিল ভোট মিটতে ও কথা আর বলে না কেউ। এহেন দুর্দশাময় পরিস্থিতিতে এলাকাতে টিকি দেখা যায়নি স্থানীয় বিধায়ক তেজপাল সিং বা সাংসদ মহেশ শর্মার। যার জেরেই এবার গ্রেটার নয়ডার সুরাজপুর ও গৌতম বুদ্ধ নগরে ওই দুজনের বিরুদ্ধে পোস্টার দিলেন এলাকাবাসী। পোস্টারে ছাপানো হয়েছে দুজনের ছবিই। সঙ্গে লেখা এই দুই ব্যক্তি নিখোঁজ এদের খোঁজ দিতে পারলে মিলবে ৫০১ টাকা পুরস্কার।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের গৌতম বুদ্ধ নগর থেকে জিতে সাংসদ হন মহেশ শর্মা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার বিমান পরিবহণ এবং সংস্কৃতি ও পরিবেশ মন্ত্রকের মন্ত্রী তিনি। ২০১৪ সালে এই এলাকা থেকেই সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। একই এলাকা থেকে দু’বার সাংসদ হয়েও নিজের এলাকার কোনও উন্নয়ন তিনি করেননি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে তাঁরা জানান, এলাকার বেশীরভাগ রাস্তাই ভগ্নদশায়। কোনও উন্নয়ন মূলক কাজ হয় না এখানে। কোনও নেতা আমাদের অভিযোগ শোনেন না। ভোট নেওয়ার সময় শেষ দেখা গিয়েছিল সাংসদ ও বিধায়কদের। তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ নেই ওঁদের।
আরও এক ব্যক্তির দাবি, আমরাই ভোট দিয়ে জিতিয়েছিলাম ওই বিধায়ক ও সাংসদকে। কিন্তু তারপর থেকে আর এমুখো হননি ওঁরা। প্রতি বছর আমাদের তরফে রাস্তা ঠিক করানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয় কিন্তু কাজ কিছু হয়নি। রাস্তার পাশে হেলে পড়ে রয়েছে ইলেক্ট্রিক পোস্ট। যে কোনও সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। তাই কেউ যদি ওঁদের খোঁজ দিতে পারেন তাঁকে আমরা ৫০১ টাকা পুরস্কার দেব। গ্রামবাসীদের তরফে ছাপানো এ হেন পোস্টার যে এলাকায় চাঞ্চল্য ফেলেছে তা আলাদা করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। এ ঘটনায় গেরুয়া শিবিরের পাশাপাশি মুখ পুড়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথেরও।