কলকাতা লিগের প্রথম ম্যাচে কিছুটা অপ্রত্যাশিতভাবে মোহন বাগান তিন গোলে হেরে গিয়েছিল পিয়ারলেসের কাছে। মাঝে ডুরান্ডের ম্যাচে জয় পেয়েছে। ফিরে পেয়েছে আত্মবিশ্বাস। এই প্রেক্ষাপটে আজ কাস্টমসের বিরুদ্ধে লিগ ম্যাচে জয়ে ফিরতে মরিয়া মোহন বাগান। তবে আগের মতই মাঠ নিয়ে চিন্তায় ভিকুনা।
ডুরান্ড সেমিফাইনালে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছেন সালভা চামোরোরা। কিন্তু কলকাতা লিগের প্রথম ম্যাচে ক্রোমার মতো অভিজ্ঞ ফুটবলারের দৌরাত্ম্যে পিয়ারলেসের কাছে বিশ্রী ভাবে হারে মোহনবাগান। সেখানে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য কিবু যে মরিয়া, সেটা বোঝা যায় তাঁর কথাতেই, ‘‘ডুরান্ড কাপ মাথা থেকে সরিয়ে দিয়েছি। এখন আমাদের লক্ষ্য কলকাতা লিগ। বৃষ্টি এবং মাঠের যা অবস্থা, তাতে যে কোনও ম্যাচ বার করা কঠিন।’’
মোহন বাগান কোচ কিবু ভিকুনা জানালেন,‘দলে বেশ কিছু পরিবর্তন হতে পারে। কিমকিমা স্টপারে গুরজিন্দার কুমারের জায়গায় খেলবে। ১৮ জনের দলে থাকবে চুলোভা। পরিস্থিতি হিসাবে ওকে নামানো হবে। কাস্টমস দলেও তিন বিদেশি আছে। আমি ওদের খেলার ভিডিও দেখেছি। কাস্টমস সম্বন্ধে বেশ ভালোই হোমওয়ার্ক করেই নামছি আমরা। তবে এটুকু বলতে পারি, পিয়ারলেসের মতো শক্তিশালী দল নয় কাস্টমস। তবে গত এক সপ্তাহ ধরে দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে। লিগের প্রথম ম্যাচে মাঠের অবস্থা অনেক ভালো ছিল। মাঠটি রোল করতে বলা হয়েছে গ্রাউন্ড স্টাফদের। মাঠ নিয়ে আমি কিছুটা চিন্তায় আছি। এই মাঠে নবাগত বিদেশিদের মানিয়ে নেওয়া কিছুটা অসুবিধাজনক।’
তবে আজ মাঠের থেকেও মোহনবাগানের বড় প্রতিপক্ষ ফিলিপ আজা! গত বছর লিগে আজার দাপটে কেঁপে গিয়েছিল দুই প্রধান। সাদা-কালো জার্সিতে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের বিরুদ্ধে গোল করেছিলেন ঘানার এই স্ট্রাইকার। আটটি টুনার্মেন্ট ৪৬টি গোল করা সেই আজা মঙ্গলবার সই করলেন কাস্টমসে। কাস্টমসের কোচ রাজীব দে বললেন, ‘‘আজাকে দেখে মনে হয়েছে, দেশে গিয়েও অনুশীলনের মধ্যে ছিল। কলকাতায় এসে দু’সপ্তাহ অনুশীলন করেছে। তবে শুরুতে নামাবো কি না ঠিক করিনি।’’
কাস্টমস দলের তিন নিয়মিত বিদেশি হলেন ইমানুয়েল, জন এবং স্ট্যানলি। এর মধ্যে ইমানুয়েল স্টপার। জন ডিফেন্সিভ ব্লকার। স্ট্যানলিকে আপফ্রন্টে খেলানো হচ্ছিল। আদজা সই করায় বুধবার শেষ ২০ মিনিট কাস্টমস দুই বিদেশি স্ট্রাইকার নিয়ে খেলবে। কাস্টমসের কোচ রাজীব দে জানালেন,‘রাম মালিক, স্নেহাশিস দত্তর মতো পরিচিত খেলোয়াড় আছে মাঝমাঠে। আমরা প্রত্যাশিত লড়াই পৌঁছে দিতে পারব মোহন বাগান শিবিরে।’ উল্লেখ্য, গত বছর কাস্টমসের ‘চেকিং’য়ে আটকে গিয়েছিল ইস্ট বেঙ্গল। গত তিন বছর কাস্টমস ময়দানে লড়াকু হিসাবে উঠে এসেছে। তাই কাস্টমসের চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করাই আজ মোহন বাগানের কাছে চ্যালেঞ্জ।