শালবনী বিস্ফোরণ কাণ্ডে মুক্তি পেলেন না ছত্রধর মাহাতো। তবে তাঁর সাজার মেয়াদ কমিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন ছত্রধর মাহাতো সহ চার জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড খারিজ করল কলকাতা হাই কোর্ট। ২০০৯ সালে কাঁটাপাহাড়ি বিস্ফোরণ মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন ছত্রধর মাহাতো ও আরও ৫ জন। তাঁরা হলেন সাগুন মুর্মু, শম্ভু সরেন, সুখশান্তি বাস্কে, প্রসূন চট্টোপাধ্যায় এবং রাজা সরখেল।
এর মধ্যে প্রথম চারজনের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা রুজু হয়েছিল। এঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ষড়যন্ত্র, বেআইনি অস্ত্র রাখা এবং দেশদ্রোহিতার। সেই অভিযোগে এঁরা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত ছিলেন। বুধবার, কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতি মুমতাজ খান ও জয় সেনগুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চ এঁদের শাস্তির মেয়াদ কমিয়ে ১০ বছর করেন।
হাইকোর্টের রায়ে ছত্রধর মাহাতো মুক্তি না পেলেও বেকসুর খালাস করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজা সরখেল ও প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরণে যুক্ত থাকার সরাসরি প্রমাণ মেলেনি। এছাড়া ছত্রধরের মতোই ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে শাগুন মূর্মু, সুখশান্তি বাস্কে, শম্ভু সোরেনকে। বিচারপতি মুমতাজ খান এবং বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দেয়। ২০০৯ সালে গ্রেফতার হওয়ায় ইতিমধ্যেই ১০ বছর জেলে কাটানো হয়ে গিয়েছে ছত্রধরের। তাই আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর তাঁকে মুক্তি দেওয়া হতে পারে।
২০০৯ সালে বিনপুর জঙ্গল থেকে গ্রেফতার হন জঙ্গলমহলের জনসাধারণের কমিটির একদা প্রধান মুখ ছত্রধর মাহাতো। ২০১৫-র মে মাসে মেদিনীপুরের দায়রা আদালত ছত্রধরদের দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। বাম আমলে গ্রেফতার এবং কমিটির নেতা-সহযোগীদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন তুলেছে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কর্মীরা।