গত বছর দেশজুড়ে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ড। ২০১৭-য় ১৬ বছর বয়সে বিধায়কের কাছে চাকরি চাইতে গিয়ে ধর্ষিতা হতে হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বাড়ির সামনে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন এক কিশোরী। জানিয়েছিলেন, ২০১৭ সালে চাকরির জন্য বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারের বাড়িতে গেলে সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। এরপরই দেশজোড়া সমালোচনার মুখে পড়ে সেঙ্গারকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয় সরকার।
তবে উন্নাওকান্ডে নির্যাতিতা কিশোরীর বাবার হত্যা মামলার এফআইআর-এ সিবিআই ইচ্ছা করেই বিজেপির বহিষ্কৃত বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গার এবং তার ভাইকে অভিযুক্ত করেনি। শনিবার আদালতে সওয়ালের সময় এমনই অভিযোগ করেন নির্যাতিতার পক্ষের আইনজীবী। যদিও তাঁর দাবি উড়িয়ে দিয়ে সিবিআই-এর পক্ষের আইনজীবী অশোক ভরতেন্দু বলেছেন, স্বচ্ছভাবে তদন্ত করে ওই মামলার তদন্তকারী অফিসার সব তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেছিলেন।
তাঁর দাবি, কিশোরীর বাবার হত্যায় সেঙ্গার বা তার ভাইয়ের কোনও যোগাযোগের প্রমাণ মেলেনি এপর্যন্ত। যদি তা মেলে তাহলে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট গঠন করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন ভরতেন্দু। সেঙ্গারকে জেরার করার আবেদন জানিয়ে আদালতে আপিল করেছিল সিবিআই। সেই আপিল এখনও খতিয়ে দেখছে আদালত। সেই জেরার সময় নির্যাতিতার পক্ষের আইনজীবীকে না ঢুকতে দেওয়ার সিবিআই-এর আবেদন অবশ্য নাকচ করে দিয়েছে আদালত।
উল্লেখ্য, নিগৃহীতা কিশোরীর পরিবারের তরফে অভিযোগ, অভিযোর পরের দিনই তাঁর বাবাকে প্রচণ্ড মারধর করেন বিধায়কের ভাই। নিগৃহীতার বাবা থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে বেআইনি ভাবে অস্ত্র রাখার পুরনো একটি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার এবং মারধর করে পুলিশ। তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। এখানেই শেষ নয়, নিগৃহীতার কাকাকেও এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়। যোগীর পুলিশ এর পরে রেল ডাকাতি, খুনের চেষ্টা, ধর্ষণের চেষ্টার মতো ১২টি মামলায় জড়ায় তাঁকে।