কাশ্মীরে রাজনীতি এখন যেন চলছে হাসির চিত্রনাট্য। দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাদানুবাদে উত্তপ্ত জাতীয় রাজনীতি। যেখানে মেহবুবা মুফতিকে দেখলেই নাকি গাল পাড়ছেন ওমর আবদুল্লা। ছেড়ে কথা বলছেন না পিডিপি নেত্রীও। জম্মু-কাশ্মীরের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা এমন জায়গায় পৌঁছে যায় যে বাধ্য হয়েই ওমর আবদুল্লাকে অন্যত্র সরাল প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহ থেকেই শ্রীনগরের হরি নিবাস গেস্ট হাউসে গৃহবন্দি রয়েছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর ও পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫এ ধারা লোপ করার আগে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে তাঁদের আটক করা হয়। আবদুল্লা ও মুফতির পাহারায় থাকা এক অফিসার জানান, ‘দু’জনেই দু’জনের ওপরে চিত্কার করতেন প্রায় সবসময়। প্রয়াত মুফতি মহম্মদ সৈয়দকে বিঁধেও কথা বলতে ছাড়তেন না ওমর।’ পালটা পিডিপি নেত্রীর জবাব, ‘ ওমরের বাবা ফারুক আবদুল্লাই বাজপেয়ী জমানায় বিজেপির সঙ্গে জোট গঠন করেছিলেন। বাজপেয়ী সরকারে ফারুক আবদুল্লা নিজেও প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।’ শুধু তাই নয় ওমরের দাদু শেখ অবদুল্লার বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলতেন মুফতি।
মুখোমুখি দুই রাজনীতিকের পূর্বপুরুষের নাম নিয়ে এহেন বাকবিতণ্ডা শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে হরি নিবাসের বাইরে পাহারায় থাকা নিরাপত্তা কর্মীদের কানেও পৌঁছে যেত। শেষমেশ পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে যায় যে, বাধ্য হয়ে ওমর আবদুল্লাকে বনদপ্তরের একটি বাংলোয় স্থানান্তরিত করা হয়। বিতণ্ডা থামাতে মেহবুবার সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে দেওয়া হয়৷ তবে মেহবুবার জায়গা বদলানো হয়নি। সম্প্রতি তিন তালাক বিল নিয়েও টুইটারে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লা। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, জম্মু-কাশ্মীর বিভাজিত হওয়ায় অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে এনসি ও পিডিপি।