আবার একপ্রকার যুদ্ধের আবহাওয়া তৈরি করতে চলেছে পাকিস্তান। এইরকমই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফৎ। কাশ্মীরের ওপর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করার পর থেকেই পাকিস্তান ক্ষেপে উঠেছে। ভারতের সঙ্গে সবরকম সম্পর্ক ছিন্ন করার লক্ষ্য নিচ্ছে তাঁরা। এইবার সামরিকভাবে আঘাত হানার পরিকল্পনা করছে তারা। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যুদ্ধবিমান মোতায়েন করছে পাকিস্তান। সীমান্তের ওপারে লাদাখ লাগোয়া স্কারদু বায়ুসেনা ঘাঁটিতে চিন নির্মিত জেএফ-১৭ ফাইটার জেট পাঠাচ্ছে পাক সেনা।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর,পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের লাদাখ সীমান্ত লাগোয়া পাক সেনঘাঁটিগুলিতে সক্রিয়তা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে গিয়েছে। গত শনিবার থেকেই স্কারদু বিমানঘাঁটিতে একাধিকবার অবতরণ করেছে পাক বায়ুসেনার সি-১৩০ পণ্য পরিবহণকারী বিমান। ভারতের সঙ্গে ‘ফরওয়ার্ড বেস’গুলিতে যুদ্ধের জন্য রসদ মজুত করছে পাক সেনা। গোয়েন্দারা আরও মনে করছেন, ওই ঘাঁটিগুলি থেকে বড়সড় বিমান হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে পাক বায়ুসেনা। তবে ভারতীয় সেনার তরফে আশ্বস্ত করা হয়েছে, পাক সেনার গতিবিধি বাড়লেও চিন্তার কিছু নেই। পাক বিমানবাহিনীর সমস্ত গতিবিধি ভারতীয় রাডারে স্পষ্ট ধরা পড়ছে। ফলে কোনও বেগড়বাই করলে পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দেওয়া হবে।
রবিবার টুইট করে মারাত্মক এই দাবি করলেন পাকিস্তানের এক সাংবাদিক হামিদ মীর। তাঁর দাবি, ‘‘কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তান সরকার সেনার সংখ্যা বাড়াচ্ছে বলে খবর দিয়েছেন তাঁর কাশ্মীরি বন্ধুরা। গতকাল রাত থেকেই প্রচুর পরিমাণ অস্ত্র ও কামান নিয়ে পাকিস্তানের সেনাকর্মীরা কাশ্মীর সীমান্তে জড়ো হচ্ছে। আর তাদের দেখে পাকিস্তানের পতাকা নাড়িয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছে স্থানীয় কাশ্মীরি। মুখে স্লোগান দিচ্ছে – কাশ্মীর বন গ্যায়া পাকিস্তান।’’ এই টুইটের কথা প্রকাশ্যে আসতেই ভারতের তরফে নজরদারি চালানো হচ্ছে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায়। বাড়ানো হয়েছে সেনা জওয়ানদের সংখ্যাও।
ঈদ ও স্বাধীনতা দিবসের মধ্যে জঙ্গি হামলা হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে গোয়েন্দাদের তরফে। এর মধ্যে শনিবার রাত থেকে কাশ্মীর সীমান্তে ইমরান সরকার বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-সহ প্রচুর সেনা পাঠাচ্ছে বলে জানা গেল। এইভাবে হামলা এনে ভারতকে ধরাশায়ী করার এক অদ্যম চেষ্টা চালাচ্ছে ইসলামাবাদ।