বিশ্বকাপের আগে থেকে যে উত্তর খোঁজা হচ্ছিল এবার হয়ত তার উত্তর মিলল৷ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ঋষভ পন্থকে নামানো হয়েছিল চার নম্বরে। ওয়ান ডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও (প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যায়) চারে নামলেন ঋষভ। একটা সময় শ্রেয়স আইয়ারের নামও নাকি চার নম্বরের জন্য ভেসে উঠেছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে শ্রেয়সকে পাঁচ নম্বরেই পছন্দ করছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। রবিবারও তিনি পাঁচে নেমেই সফল। করলেন ৬৮ বলে ৭১।
মুম্বইয়ের তরুণ ব্যাটসম্যান শনিবারই সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, যে কোনও জায়গার তিনি ব্যাট করতে তৈরি। নিজেকে সে ভাবেই তৈরি করেছেন। রবিবার সেটাই প্রমাণ করে দেখালেন। ম্যাচের আগে শ্রেয়স বলেছিলেন, ‘‘চার নম্বরে কাকে নামানো হবে, তা নিয়ে আমার কোনও ধারণাই নেই। আমি তো টিম ম্যানেজমেন্টকে গিয়ে আর বলতে পারি না যে, চার নম্বরে ব্যাট করতে দিন। আর তারা সেটা শুনবেই বা কেন।’’ কিন্তু চার নম্বরের জন্য যতই ‘প্রজেক্ট’ করার কথা ভাবা হোক, শ্রেয়স আয়ার কিন্তু যে কোনও পজিশনে ব্যাট করার জন্য তৈরি।
এরই মধ্যে আবার অনেক ক্রিকেটার কিন্তু বলে দিচ্ছেন, শ্রেয়সকে আরও বেশি সুযোগ দেওয়া উচিত। যাতে ভারতীয় টিমে থিতু হওয়ার সুযোগ পান তিনি। প্রাক্তন এক ক্রিকেটার বলছেন, ‘যে ম্যাচটা বৃষ্টিতে ভেস্তে গেল, তাতে ওর চার নম্বরে ব্যাট করার কথা ছিল। আশা করি পরের ম্যাচটাতে ওই জায়গাতেই ব্যাট করবে। শ্রেয়সের সঙ্গে আমি আইপিএলের সময় দিল্লির হয়ে খেলেছি। ওর মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে সাফল্য পাওয়ার যাবতীয় মশলা আছে। আশা করি ধারাবাহিক ভাবে ও ভারতীয় টিমে সুযোগ পাবে।’
একই সঙ্গে শ্রেয়স এও বলে দিয়েছেন, ‘ব্যক্তিগত ভাবে আমি চার নম্বর জায়গাটা নিয়ে ভাবছি না। আমার একটাই লক্ষ্য, যে কোনও জায়গায় যেন ব্যাট করতে পারি।’
দেশের হয়ে পাঁচটা ওয়ান ডে খেলেছেন শ্রেয়স। দুটো হাফ সেঞ্চুরিও করেছেন। ভারতীয় ‘এ’ টিমের হয়ে ক্যারিবিয়ান সফরে ছন্দে ছিলেন শ্রেয়স। চারটে ওয়ান ডে ম্যাচে ‘এ’ টিমের হয়ে ১৮৭ রান করেছেন।
শ্রেয়স বলেছেন, ‘এ টিমের হয়ে যে ছন্দটা পেয়েছি, সেটাই এখানে ধরে রাখতে চাই। আমি আরও দুটো ম্যাচ পাব নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য।একই সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন, ‘টিম দারুণ খেলছে। কোনও এক জন পারফর্ম করতে না পারলে অন্য জন সেই অভাবটা ঢেকে দিচ্ছে। এটাই টিমের সবচেয়ে পজিটিভ দিক।’