রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শিল্পে বিনিয়োগ এবং শিল্পের উন্নতি নিয়ে সচেষ্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর ঐকান্তিক চেষ্টা যেমন রাজ্যের ধুঁকতে থাকা শিল্পক্ষেত্রগুলিতে নয়া প্রাণ সঞ্চার করেছে, তেমনি গড়ে উঠছে নানা শিল্পতালুকও। আর তারই সুবাদে দেশের মধ্যে সবদিক থেকেই ‘এগিয়ে বাংলা’। এবার জানা গেল, বৃদ্ধির হারেও অন্যান্য অন্য রাজ্যগুলিকে ছাপিয়ে গেছে মমতার রাজ্য। খোদ মোদী সরকারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ সালে বাংলার বৃদ্ধির হার ১২.১ শতাংশ। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এই সাফল্যের জন্য রাজ্যবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার তিনি ফেসবুক পোস্টে লেখেন, কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির জেরে দেশের অর্থনীতিতে গভীর মন্দা ও নীতি-পঙ্গুত্ব দেখা দিয়েছে। ফলে, গোটা দেশের বৃদ্ধির হার দারুণভাবে হ্রাস পেয়েছে এবং বেকারত্ব গত ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়েছে। ২০১৮-১৯ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে জিডিপির বৃদ্ধি কমে দাঁড়িয়েছে ৫.৮ শতাংশ। এটা ২০১৪ থেকে ২০১৯, এই পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। ২০১৯-এর জুনে শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধির হার ছিল ২ শতাংশ। ঠিক এক বছর আগে ২০১৮-র জুনে এই হার ছিল ৭ শতাংশ। আগের বছরে এপ্রিল, মে ও জুন মাসে বৃদ্ধির হার ছিল ৩.৬ শতাংশ। একই সময়ে এর আগের বছর বৃদ্ধির হার ছিল ৫.১ শতাংশ। ২০১৯-এ শিল্পোৎপাদনের সূচক কমে হয়েছিল ১.২ শতাংশ। অথচ ২০১৮-য় এই হার ছিল ৬.৯ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় সরকার অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড থেকে বিএসএনএল, এয়ার ইন্ডিয়া থেকে রেল-সহ ৪৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার সম্পদ বিক্রি করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। এতে লক্ষ লক্ষ লোকের চাকরি যাবে। সম্প্রতি অটোমোবাইল এবং চর্মশিল্পে ৩ লক্ষেরও বেশি শ্রমিক কর্মহীন হয়েছেন। ২০১৯-২০ আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে বিনিয়োগ গত ১৫ বছরের মধ্যে সব থেকে কম। এই সরকার অর্থনীতি ও উন্নয়ন থেকে দৃষ্টি সরিয়ে রাজনীতি, রাজনীতি এবং রাজনীতিকেই তাদের একমাত্র অ্যাজেন্ডা করে তুলেছে। উল্লেখ্য, কেন্দ্র যে বরাবররই অবহেলা করে এসেছে বাংলাকে এমন অভিযোগ উঠে এসেছে বারবার৷ তবে কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও গতিরোধ করা যায়নি মমতার উন্নয়নের৷ তাই যে বাংলাকে অবহেলা করে মোদী সরকার, তাদের রিপোর্টে সেই বাংলার বৃদ্ধির হারই এখন গোটা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।