এভাবেই সিনেমাওয়ালারা অতলে চলে যায়। ছেঁড়া রিল, বাক্সে সেলুলয়েড, ভাঙা ক্যামেরা, নায়িকার সুগন্ধি, নায়কের দামী তামাক, মেকআপ রুমে রেখে যাওয়া কতো না পরকীয়া কিসসা বা আয়নায় লেগে থাকা টিপ, অগোছালো সিনেমার পোস্টার।
এভাবেই সিনেমা বদলে যায় বহুতলে। ঝুল বারান্দায় মোবাইল ফোনে কথা বলে ভবিষ্যৎ বা যুগ যুগান্তরের ছবি। ফ্ল্যাশের ঝলকানি কখন যেন বদলে যায় বসার ঘরের নরম আলোয়। ওতে হাজার ওয়াটের কোন স্টুডিও লাইট নেই৷
এভাবেই সিনেমাওয়ালারা বিস্মৃতির গুদামে চলে যায়। বড় বড় সেটের কাঠ, চেয়ার টেবিল, নায়িকা সংবাদ, ফিসফাস, গুজাব সহ।
ছবিটা মুম্বাইয়ের সেই প্রবাদপ্রতিম আর.কে. স্টুডিওর। রাজ কাপুর স্টুডিও। নারগিস আর রাজ কাপুরের সেই বিখ্যাত মুহুর্তকে ফ্রেমবন্দী করে বানানো লোগো। একের পর এক জনপ্রিয় হিন্দি ছবির সেট।
ছবিটা এখনকার আর.কে স্টুডিও-র। বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে এখন ধূলিসাৎ করে দেওয়া হচ্ছে। জমিতে বহুতল হবে৷ কোটি কোটি টাকার এক একটা ফ্ল্যাট। জানা নেই কতজন সিনেমাপাগল বড়লোক ওখানে ফ্ল্যাট কিনবে, বন্ধুদের ড্রইংরুমে বসিয়ে গল্প করবে মুম্বাইয়ের, সেই জমির যেখানে তারা বসে থাকবে ভবিষ্যতের সৌখিনতায়।
মতামত লেখকের ব্যক্তিগত