ভরদুপুরে লেকগার্ডেন্সের রাস্তায় হেনস্তা হতে হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এম ফিলের ছাত্রীকে। হঠাৎই সিল্কের শাড়ি পড়া এক মাঝ বয়সী মহিলা তাঁকে লক্ষ্য করে কটূক্তি করে থাকে। ছাত্রী জানান, এদিন তিনি দুপুর দেড়টা নাগাদ কিছু জিনিস কিনতে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। পরনে ছিল টি শার্ট আর শর্টস। তরুনীর মুখোমুখি হয়ে সেই মহিলা রুক্ষ গলায় বলতে থাকেন,”শর্টস আর টি শার্ট পরে রাস্তায় বেরিয়েছ, তোমাদের মতো মেয়েদের এখনই রেপ করা উচিত”।
মায়ের মতো একজন মাঝবয়সী মহিলার মুখ থেকে এমন কথা শুনে রীতিমতো স্তম্ভিত হয়ে যায় মেয়েটি। খানিকবাদে নিজেকে সামলে নিয়ে তরুণী প্রতিবাদ করে বলেন, “ওঁর আমার উপর খবরদারি ও মরাল অথরিটি ফলানোর কোনও অধিকার নেই। আমি এ-ও বলি তিনি যা করছেন তা ফৌজদারি অপরাধ”।
এরপরও অভিযুক্ত মহিলার বিদ্বেষী মনোভাবে বিন্দুমাত্র খামতি দেখা যায়নি, বরং সুর চড়িয়ে তিনি জারি রাখেন কটূক্তি। সহ্যের বাঁধ ভেঙে তরুণী সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কর্তব্যরত ট্রাফিক গার্ডকে নালিশ করতে গেলে তরুণীর উপর চড়াও হন ওই মহিলা। ছাত্রীর কথায়, “আচমকা আমার উপর চড়াও হয়ে চড় মারেন তিনি’ হকচকিয়ে গিয়ে আমি মহিলাকে বলি আপনি বাড়াবাড়ি করছেন”।
প্রত্যক্ষ্যদর্শীদের কথায়, দক্ষিণ কলকাতা মতো জায়গায় এমন ঘটনায় সত্যিই স্তম্ভিত হয়ে যাওয়ার মতো। আজকের দিনেও দাঁড়িয়েও মা এর বয়সী কোন মহিলা এমন কথা বলতে পারেন তবে বলতেই হয় তিনি বিকৃত মানসিকতার। এমন কথা ভেবেও নিজেদের লজ্জা লাগছে ।
দক্ষিণ কলকাতার লেকগার্ডেন্সে পেইং গেস্ট হিসাবে বসবাসরত তরুণী জানান, আমার প্রতিবেশীরা এবং আমার বাড়ির মালিকের সহযোগিতায় আমি স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করি। পুলিশের তরফে জানান হয়, তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।