লোকসভা ভোটের আগে বিরোধী ঐক্য গড়তে তিনি সক্রিয় ছিলেন। ব্রিগেডে সমাবেশ করেছিলেন বিজেপি-বিরোধী সব দলকে ডেকে। এবার নিজের রাজ্যের বাইরে বিজেপি-বিরোধী মঞ্চে ফের শামিল হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপলক্ষ্য তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম করুণানিধির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর মূর্তির আবরণ উন্মোচন।
চেন্নাইয়ে আজ, বুধবার সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীদের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে, কাশ্মীরের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে গৃহবন্দী রেখে যে ভাবে কাশ্মীর বিল পাশ করিয়েছে কেন্দ্র, তার বিরোধিতায় সরব হয়েছেন মমতা। একই ভাবে বিরোধী অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন ডিএমকে সভাপতি এম কে স্ট্যালিনও। স্বভাবতই আজ স্ট্যালিনের দলের মঞ্চে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের ‘অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপে’র বিরুদ্ধে সুর উঠবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক শিবির।
ডিএমকে-র মুখপত্র ‘মুরাসলি’র দফতরে ওই কাগজের প্রতিষ্ঠাতা করুণানিধির মূর্তি বসছে। মমতার কথায়, ‘করুণানিধি নিজে ‘মুরাসলি’ কাগজটা করেছিলেন। ওখানে তাঁর মূর্তি প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে ওঁরা আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।’ তারাভুর থেকে শুরু হয় ওই প্রকাশনা। ষাটের দশকে চেন্নাইয়ে সেই সদর দফতর সরে আসে। এ দিন সেখানেই যাওয়ার কথা তৃণমূল সুপ্রিমোর। পরে এই উপলক্ষ্যে মেরিনা বিচে একটি সভা করার কথা মমতার। কাশ্মীর প্রসঙ্গের পর এই প্রথম মমতার প্রকাশ্য সভা। সেখানে বিজেপি বিরোধী কী সুর বাঁধেন তিনি, সে দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
ডিএমকে-র মুখপত্রের নামে যে অছি পরিষদ আছে, তার ম্যানেজিং ডিরেক্টর এখন স্ট্যালিন-পুত্র, অভিনেতা উদয়নিধি স্ট্যালিন। লোকসভা ভোটের পরে তিনিই ডিএমকে-র যুব সংগঠনের সম্পাদক হয়েছেন। তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক শিবিরের অনেকের মত, বড় মঞ্চে উদয়নিধির অভিষেক হবে আজই। এই নিয়ে মমতা বলছেন, ‘ওর কথা শুনেছি। তবে যুব সংগঠনের দায়িত্ব পেয়েছে, জানতাম না।’