বন্দী করার ১ মাসের মধ্যেই আন্তর্জাতিক তকমাপ্রাপ্ত জঙ্গী হাফিজ সঈদকে মুক্তি দিল পাকিস্তান। গতকাল ভারত জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ করে দেওয়ার পরেই পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্তে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে কূটনৈতিক মহলে। গতকাল, পাকিস্তান পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ইমরান খান হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, কাশ্মীরের যা পরিস্থিতি ফের সেখানে পুলওয়ামার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামা ঘটনার পিছনে আন্তর্জাতিক জঙ্গি মাসুদ আজহার রয়েছে বলে ভারত দাবি করে।
গত মাসে মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সঈদকে গ্রেফতার করে পাক পঞ্জাবের কাউন্টার টেরিজম ডিপার্টমেন্ট। জঙ্গিদের আর্থিক সাহায্য করার অভিযোগ এনে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে, কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে হাফিজকে গ্রেফতার করে সন্ত্রাসাবাদ বিরোধী মনোভাবের বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ইমরান খান। অনেকে তাঁর এই সিদ্ধান্তকে লোক দেখানো বলে কটাক্ষ করেন। আজ হাফিজকে মুক্তি দিয়ে সেটাই প্রমাণ করল পাকিস্তান।
কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করেন, হাফিজ সঈদ পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কাশ্মীরে হিংসা ছড়াতে হাফিজকে কাজে লাগাতে পারে আইএসআই, এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। গতকালই পাক সংসদে ইমরান খান জানিয়েছেন, কাশ্মীর নিয়ে তাঁরা শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে। রাষ্ট্রসঙ্ঘ, বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন-সহ একাধিক আন্তজার্তিক মঞ্চে কাশ্মীরের পরিস্থিতি তুলে ধরবে বলে জানান তিনি। ইমরানের মন্তব্যে স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে, কাশ্মীরে হিংসা ছড়াতে সব ধরনের ইন্ধন জোগাতে প্রস্তুত রয়েছে পাকিস্তান। হাফিজকে মুক্তি দিয়ে সেই আশঙ্কাই সত্যি হল বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।