তীব্র জলসংকট গোটা দেশ জুড়ে। ইতিমধ্যে প্রায় জলশুন্য শহরে পরিণত হয়েছে চেন্নাই। চেন্নাইয়ের মত জলের কষ্ট যাতে না হয় তাই এখন থেকেই জল সংরক্ষণে নজর দিয়েছে রাজ্য সরকার। জল সংরক্ষণকে গুরুত্ব দিয়ে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর কমে যাওয়ায়, জল সংরক্ষণের জন্য রাজ্য জল সম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন দপ্তর “জল ধরো জল ভরো” প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য বিভিন্ন প্রকল্পের ওপর জোর দিতে চলেছে। জল সংরক্ষণের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার বিভিন্ন দপ্তরের সুস্পষ্ট ভূমিকা নির্ধারণ করবে।
৩৬০০টি প্রকল্প চলছে বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহায়তায়। এই প্রকল্পের নাম ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যাক্সেলেরেটেড ডেভেলপমেন্ট অফ মাইনর ইরিগেশন। ২০১৫ সালে লাল মাটির জেলাগুলির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সূচনা করা ‘জলতীর্থ’ প্রকল্পের থেকে অনেক সহায়তা পেয়েছে ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্প। বিভিন্ন পুকুর, ট্যাঙ্ক খনন ও তৈরী করা হয়েছে। বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে যাতে এই জল বাষ্প হয়ে উড়ে না যায়।
জল সম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন দফতর জল সংরক্ষণের নোডাল দফতর হলেও জল সংরক্ষণের দায়িত্বে থাকছে সেচ, কৃষি ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরও। গত আট বছরে প্রায় ১৩,৯৪৫টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে লাল মাটির জেলাগুলির জন্য। ৯০০টি জল সংরক্ষণের ট্যাঙ্ক, ২৮৭টি চেক ড্যাম তৈরী করা হয়েছে জল সংরক্ষণের জন্য। এই প্রকল্পের মধ্যে ১৪১টি সৌর বিদ্যুৎ চালিত। ১২,৬০০টি অন্যান্য প্রকল্প আছে নদীর জলের মাধ্যমে সেচ ও টিউবওয়েল বসানো ইত্যাদি।