মঙ্গলবারই আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি দুই জেলার সভাপতি বদল করে তৃণমূল। জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীকে সরিয়ে ওই জেলার প্রবীণ তৃণমূল নেতা কৃষ্ণকুমার কল্যাণীকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতির পদ থেকে মোহন শর্মাকে সরিয়ে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় জেলার পুরনো তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দেবাশিস গোস্বামীকে (মৃদুল)। জেলা সভাপতি হয়ে প্রথম দিনই চমক দিলেন কৃষ্ণকুমার কল্যানী। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে যাওয়া ময়নাগুড়ির দাপুটে নেতা শিবশঙ্কর দত্তকে ফের তৃণমূলে ফেরালেন তিনি।
বুধবার ময়নাগুড়িতে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি। এ দিনই শশাঙ্ক বসুনিয়াকে সরিয়ে শিবশঙ্কর দত্তকে ময়নাগুড়ি ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি করা হল। পুরোনো দলে আবার যোগ দিয়েই স্বমহিমায় তিনি। মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে গত দেড় বছর বিজেপিতে থাকার তিক্ত অভিজ্ঞতা বলতে থাকেন তিনি। একই সঙ্গে দাবি করেন, আগামী দিনে ময়নাগুড়িতে বিজেপি করার লোক থাকবে না।
জলপাইগুড়িতে পূর্ত দফতরের পর্যবেক্ষণ বাংলোতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি এই দুই জেলার নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন দলের উত্তরবঙ্গের পর্যবেক্ষক মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ওই বৈঠকে দুই জেলার সভাপতি বদলের সিদ্ধান্ত জানিয়ে তিনি বলেন, “সামনে ২১ এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই দুই জেলায় দলকে আরও শক্তিশালী করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই দুই জেলার সভাপতি বদল করা হয়েছে। দলের কর্মীদের আরও ভালো ভাবে কাজ করতে বলা হয়েছে।”