গড়বেতার চন্দ্রকোনায় ফের বিজেপি–র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে শনিবার রাতে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, গত বুধবার বিজেপি–র স্থানীয় এক পঞ্চায়েত সদস্যর বাড়িতে মধুচক্রের আসর বসেছিল বলে অভিযোগ। বিজেপির দলীয় কর্মীদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েই পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
শনিবার সন্ধেয় চন্দ্রকোনা রোডের সাতবাঁকুড়া বিজেপি–র দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক ডাকা হয়। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা চলতে থাকে। কিছু বিজেপি নেতা–কর্মী দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে যে টাকা খরচ হয়েছিল তার হিসেব চান দলীয় নেতৃত্বের কাছে। আর এতেই চটে যান নেতৃত্ব। এর পরই বাধে তুমুল বচসা। পার্টি অফিসের মধ্যেই হাতাহাতি শুরু হয়। এক গোষ্ঠী অপর গোষ্ঠীর কর্মী–সমর্থকদের মারতে থাকে। শুরু হয় চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি। ভেঙে দেওয়া হয় কার্যালয়ের আসবাবপত্র। আলমারি খুলে কাগজপত্র তছনছ করে দেওয়া হয়। মারধর করা হয় ব্লক নেতৃত্বদের। ঘটনায় গুরুতর আহত হন বিজেপি–র মণ্ডল সভাপতি হরেরাম সিংহ–সহ ৫ বিজেপি কর্মী।
ইতিমধ্যেই বিজেপির দলীয় অন্দরে কাটমানি ও মধুচক্র ছাড়াও গত লোকসভা ভোটে যত টাকা পেয়েছেন এলাকার নেতৃত্ব তত টাকা খরচ করেননি তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে অশান্তি, মারামারি লেগেই আছে। এতে ব্লক সভাপতি আক্রান্ত হচ্ছেন। এর আগেও জেলার ঘাটাল, নারায়ণগড়, দাঁতন গোয়ালতোড়েও মারামারি হয়েছে।
স্থানীয় বিজেপি নেতা শুভঙ্কর সাঁই জানান, “গত বুধবারের ঘটনার পর এলাকাবাসীদের পক্ষ থেকে একটি গণঅভিযোগপত্র পুলিশ বিট হাউসে জমা দেওয়া হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ ওই বাড়িতে জুয়ার আড্ডা, মদ এবং মধুচক্রের আসর–সহ একাধিক বেআইনি কাজকর্ম চলে”। শুভঙ্কর সাঁইয়ের অভিযোগ, জেলা সহসভাপতি রাজীব কুণ্ডু তাঁকে এই ঘটনা চেপে যেতে বলেন। তিনি সেই কথা না মানায় তাঁর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ জমা দেওয়া হয় পুলিশ বিট হাউসে। শনিবার সন্ধেয় মিটিংয়ে যখন সেই অভিযোগের কথা তোলা হয়, তখন তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং মারধর করেন বলে অভিযোগ।