কর্ণাটক বিধায়ক নাটক শেষ হতে না হতেই এবার মধ্যপ্রদেশের রঙ্গ-মঞ্চ প্রস্তুত। প্রশ্ন এখানেই এবার কি মধ্যপ্রদেশেও পাল্টে যাবে সরকার। কয়েকদিন ধরেই জাতীয় রাজনীতি মঞ্চে এই নিয়ে জল্পনা ছিল তুঙ্গে। এবার হয়তো সেই জল্পনা সত্যি হতে চলেছে।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই বিধানসভার ভিতরেই খোদ মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথকে সরকার ফেলা দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। বলেছিলেন, দলের একনম্বর আর দু’নম্বর চাইলে সঙ্গে সঙ্গে সরকার ফেলে দেওয়া হবে। আর তারপরই এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু করেছিল দেশজুড়ে। এবার জানা গেল, আয়কর দফতরের নিশানায় রয়েছে মধ্যপ্রদেশের ৩০ জন বিধায়ক। এমনকী কেন্দ্রীয় ওই সংস্থার তরফে তাদের নোটিসও পাঠানো হয়েছে। যার ফলে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের অন্দরমহলে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের ৩০ জন বিধায়কের আয় সংক্রান্ত তথ্য জানতে চেয়ে নোটিস পাঠানো হয়েছে আয়কর দফতরের তরফে। তাতে ওই ৩০ বিধায়কের পাঁচ বছরের আয়, আয় অনুযায়ী দেওয়া আয়করের হিসাব এবং নির্বাচনী খরচে স্বচ্ছতা আছে কি না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে আয়কর দপ্তর।
ওই বিধায়কদের দেওয়া তথ্যে অসংগতি থাকলে নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের বিধায়ক পদ চলে যেতে পারে। আর তাহলেই কর্ণাটকের মতো মধ্যপ্রদেশের বিধানসভার চিত্রও বদলে যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। শুধু তাই নয়, ৩০ জনের পাশাপাশি আরও ১৬ জন বিধায়ককে নোটিস পাঠিয়েছে আয়কর দপ্তর। ১৫ দিনের জবাবদিহি করতে বলা হয়েছে তাঁদের। এর মধ্যে ন’জন কংগ্রেসের, পাঁচজন বিজেপির আর একজন করে বিধায়ক সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টির রয়েছেন।
এই ঘটনার পরেই বিজেপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। জনাদেশকে অগ্রাহ্য করে ক্ষমতার জোরে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তৈরি হওয়া সরকারকে সরাতে চাইছে বলেও দাবি করেছে। এখন কি হবে সেটাই দেখার। কর্নাটকের পর কি মধ্যপ্রদেশেও একই হাল হতে চলেছে? প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে দেশের রাজনৈতিক আবহাওয়ায়।