তিনি দীর্ঘদিন ছিলেন অসুস্থ। অসুস্থতার কারণে ২১ শে জুলাইয়ের শহিদ দিবসে অংশও নিতে পারেননি। এমনকি সাম্প্রতিক দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বৈঠকেও অংশ নিতে পারেননি তিনি। কিন্তু এখন তিনি অনেকটাই সুস্থ। ধীরে ধীরে হাঁটতেও পারছেন। আর তাই বাড়িতে থাকার প্রয়োজন নেই। আর তাই কিছুটা সুস্থ হতেই দলের কাজে নেমে পড়লেন বীরভূমের ‘বেতাজ বাদশা’ অনুব্রত মন্ডল। আর ফিরেই পুরানো মেজাজেই পাওয়া গেল তাঁকে। ছাড়লেন হুঙ্কার। আবার কিছুটা নরম হয়ে সবাকে জানালেন ধন্যবাদও।
শারীরিক অসুস্থতা ও বিশ্রাম পর্ব কাটিয়ে দীর্ঘদিন পর দলের কাজে ফেরায় এদিন দলীয় নেতা-কর্মীরা তাঁদের প্রিয় ‘কেষ্ট দা’র সঙ্গে দেখা করতে আসেন। দাদা কাজে ফেরায় আপ্লুত কর্মীরা। এদিন অনুব্রত বলেন, এখন শরীরের অবস্থা খুব ভালো। মারামারি করতে গেলে ফার্স্ট হব। অসুস্থতার প্রায় ৩৪ দিন পর বোলপুরের তৃণমূলের কার্যালয়ে আসেন অনুব্রত মন্ডল। সেখানে তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে কথা বলেন। জেলার শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন। দলের পরিস্থিতির বিষয়ে তাঁদের কাছ থেকে খোঁজখবর নেন অনুব্রত মন্ডল। দিদিকে বলো কর্মসূচি নিয়েও নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কীভাবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়। জেলা কমিটির বৈঠকে যোগ দেবেন।
লোকসভা ভোট মেটার কিছুদিন পরে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনুব্রতবাবু। কলকাতায় অস্ত্রোপচারও হয়। তারপর থেকেই দীর্ঘদিন হাসপাতাল ও কলকাতার বাড়িতে বিশ্রামে ছিলেন তিনি। সেইসময় দলের সাংগঠনিক ভার সামলেছিলেন জেলার সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ। কিন্তু তাঁদের প্রিয় নেতা না থাকায় একরকম অভিভাবকহীন হয়ে ছিলেন সমগ্র জেলার তৃণমূল নেতা থেকে কর্মী-সমর্থকরা। এমনকী এই বছরই প্রথম তিনি ধর্মতলার একুশে জুলাইয়ের সভাতেও অংশ নেননি।তাই সুস্থ হতেই আবার স্বমহিমায় ফিরে এলেন অনুব্রত মণ্ডল। এদিন বিকেলে তিনি বোলপুরের তৃণমূল কার্যালয়ে উপস্থিত হন। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী তথা বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহা। জেলার অন্যান্য বিধায়ক ও ব্লক স্তরের নেতারা এদিন দেখা করতে আসেন। তৃণমূল কার্যালয়ে ভিড় জমাতে শুরু করেন বিভিন্ন এলাকার তৃণমূল কর্মীরা। অনেকে আসতে না পারায় ফোনে অনুব্রতবাবুর খবর নিয়েছেন। স্বভাবতই সুস্থ হয়ে অনুব্রতবাবু জেলায় ফিরে এসেছেন জেনে আপ্লুত হয়েছেন তৃণমূলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীরা।