বালিতে একের পর এক ভাস্কর্য সৃষ্টি করে দেশকে তিনি তাক লাগিয়েছেন অনেক আগেই। দেশে পদ্মশ্রীর মতো সম্মানজনক পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। সেই সুদর্শন পট্টনায়ক এবার আমেরিকাতে পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ড জিতে এলেন। গোটা বিশ্বের সেরা বালুশিল্পীদের নিয়ে আয়োজিত ফেস্টিভ্যালে ‘সমুদ্র বাঁচাও, প্লাস্টিক দূষণ হটাও’ থিমে বালিতে সেরা শিল্পকলা প্রদর্শন করে গোটা বিশ্বের মন জিতে নিয়েছেন উড়িষ্যার সুদর্শন।
গোটা বিশ্ব থেকে ১৫ জন বালুশিল্পীদের কে বেছে নেওয়া হয়েছিল এই ফেস্টিভ্যালে। বস্টন থেকে সুদর্শন জানিয়েছেন, ‘এটা আমার জন্য খুব বড় সম্মান। পুরস্কারটা গোটা দেশের। অন্যরকম ভাবে সমুদ্র বাঁচানোর ভাবনাই আমি ফুটিয়ে তুলেছি।’ বালিতে যে ছবিটি এঁকে সুদর্শন পুরস্কার পেয়েছেন সেটি হল, সমুদ্রে মরা অবস্থায় একটি মাছ এবং কচ্ছপ ভেসে এসেছে, যাদের পেট থেকে প্লাস্টিক, হাওয়াই চপ্পল, বোতল, গ্লাস ইত্যাদি বেরোচ্ছে। আর সেই সেই মাছের লেজটা রয়েছে এক ব্যক্তির মুখে। চক্রাকারে কীভাবে প্লাস্টিক দূষণ সামুদ্রিক প্রাণীদের ক্ষতি করতে করতে শেষমশে তা মানুষেরই ক্ষতি করছে, সেই ভাবনাই বালিতে ফুটিয়ে তুলেছেন সুদর্শন।
এর আগেও বহু ভারতীয় ফেস্টিভ্যালে সুদর্শন কারুকার্য দেখাতে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন। চলতি বিশ্বকাপে গ্যালারীর মতোই বস্টনও সেদিন ঝকমক করছিল তেরঙ্গায়। দেশের ছেলের এমনতর সাফল্যে খুবই খুশি আমেরিকায় ভারতীয় কনসুলেট সন্দীপ চক্রবর্তী। বললেন, ‘আমরা খুবই খুশি হয়েছি যে, আমাদের সকলের প্রিয় ওরকম একটা নামজাদা ফেস্টিভ্যাল থেকে পুরস্কার নিয়ে দেশে ফিরেছে।’