ভরা শ্রাবণেও আকাল পড়ে গিয়েছিল রুপোলি শস্যের। অন্যবারের মতো এবার আর দেখা মিলছিল না ইলিশের। যার ফলে মাথায় হাত পড়ে গিয়েছিল মৎস্যজীবী এবং মাছ ব্যবসায়ীদের। পাশাপাশি, বৃষ্টি কম হওয়ায় শহরবাসীর মনেও এই আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল যে, তবে কি ইলিশের স্বাদ থেকে বঞ্চিতই থাকবেন ক্রেতারা! কিন্তু অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হল। দেখা মিলল রুপোলি শস্যের। আর তাতেই থলে হাতে বাজারে আসা ক্রেতাদের চোখমুখে খুশির ঝিলিক।
গতকাল অর্থাৎ রবিবাসরীয় সকালে মানিকতলা, গড়িয়াহাট, শিয়ালদহ কিংবা লেক এলাকার বিভিন্ন বাজারে কমবেশি ইলিশের দেখা সেই আশঙ্কা কিছুটা স্তিমিত করেছে। মৎস্য দফতর সূত্রের খবর, জোগান কম থাকলেও এই মরসুমে শহরে শনিবার থেকেই ইলিশ ঢুকছে। এত দিন চাহিদার তুলনায় জোগান কম ছিল, যার জেরে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছিল ইলিশ। তবুও অনেক মৎস্যপ্রেমীই বেশি দাম দিয়েই বাড়ি নিয়ে গিয়েছেন তাকে।
রবিবার শহরের বিভিন্ন বাজারে ৬০০-৭০০ গ্রাম ইলিশ বিকিয়েছে ৭০০ টাকায়, ৭০০-৮০০ গ্রাম ইলিশ ৯০০ টাকায় এবং এক থেকে দেড় কেজি ওজনের মাছ বিক্রি হয়েছে ১০০০-১২০০ টাকায়। তবে জানা গেছে দীঘার মোহনায় ইলিশ ভর্তি ট্রলার ঢুকেছে। এর ফলে মিটবে ইলিশের ঘাটতি। এবং কিছুটা কমবে দামও। ফলে যে সকল ভোজনরসিক মধ্যবিত্ত বাঙালি শ্রাবণের শুরুতে এখনও ইলিশ পাতেই তুলতেই পারেনি, এবার তাদেরও কবজি ডুবিয়ে ইলিশ খাওয়ার সময় এসেছে।