পড়শি দেশ হলেও ভারতের সঙ্গে সে দেশের শত্রুতা বহুদিনের। বারবারই দু’দেশের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। হয়েছে যুদ্ধও। কথা হচ্ছে পাকিস্তানের। ভারতের সঙ্গে সে দেশের মিল, এবার ৭২ বছরে পড়বে সে দেশের স্বাধীনতাও। আর অমিল? দেশ স্বাধীন হওয়ার সাত দশক পরেও কোনও উন্নতি হয়নি পাকিস্তানের অর্ধেক মানুষের।
সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ন্যাশনাল নিউট্রিশন সার্ভে ২০১৮। আর তাতে উঠে এসেছে সরকারের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলার মতো তথ্য। রিপোর্টে বলা হয়েছে আজও পাকিস্তানের প্রায় ৫০ শতাংশ পরিবারে তাদের সদস্যদের সঠিক পুষ্টির যোগান দিতে পারে না। কারণ আজও তাঁরা দু’বেলা পেট ভরে খেতেই পারেন না প্রতিদিন। এর ফলে বহু শিশুর মধ্যে দেখা যাচ্ছে ক্রনিক অপুষ্টি এবং শারীরিক বিকাশ ও বৃদ্ধির অভাব। এমন সমীক্ষা এর আগে কখনও পাকিস্তানে হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
জানা গেছে, অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া দেশ পাকিস্তানে এই মুহূর্তে অন্তত ৪০.২ শতাংশ শিশু শারীরিক ও বুদ্ধির বিকাশ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম। এখানেই শেষ নয়। মিনিস্ট্রি অফ ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসেস-এর তরফে করা এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে আরও এক তথ্য। পাকিস্তানের প্রায় ৩৬.৯ শতাংশ গৃহস্থালীতে পেট ভরানোর মতো পর্যাপ্ত খাবারই মজুত থাকে না।
এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিস গিলগিট-বালতিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গ্রাম ও শহরাঞ্চলে। সমীক্ষায় সামিল হয়েছিল ১১৫৬০০ পরিবার, ১৪৫৩২৪ মহিলা, পাঁচ বছরের কম ৭৬,৭৪২ জন শিশু এবং ১০ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে প্রায় ১৪৫৮৪৭ নাবালক–নাবালিকা। পাকিস্তানের শিশুদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অপুষ্টি জনিত নানা সমস্যার দিকে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। যার ফলাফল দেখে এখন আঁতকে উঠছে প্রায় গোটা বিশ্বই।