দিল্লীর মসনদে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতাসীন হয়েছেন মোদী। সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়েছে বিজেপি। কিন্তু তারপর থেকে বিজেপি তাদের সদস্য বাড়ানোর এক কৌশল নিয়েছেন অনলাইনে। কিন্তু সদস্য বাড়ানোর এই পন্থাতেই বারবার বিপাকে পড়ছে গেরুয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির সদস্যপদ হিসেবে এমন এমন লোকের নাম ছড়িয়ে পড়ছে তাতে রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিচ্ছে। এর আগে রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে বিজেপি সদস্যপত্র ছড়ালে তা রীতিমতো সমালোচনার মুখে পড়েছিল। এইবার সেই তালিকায় পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
বিজেপির সদস্য হিসাবে ইমরান খানের ডিজিটাল পরিচয়পত্র বেশ ক’দিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে অনেকের মোবাইলে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে পরিষ্কার তাঁর নাম এবং দেশ লেখা। হাত ঘুরে সে পরিচয়পত্র আমদাবাদ শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারপরই সেটি সামনে আসতে পুলিশের সাইবার বিভাগ নড়েচড়ে বসেছে।
অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, আমদাবাদেরই বাসিন্দা গুলাম ফরিদ শেখ নামে এক ব্যক্তি এই কাণ্ড করেছে। তাঁর মোবাইল থেকেই প্রথম এই ছবিগুলো একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাঠানো হয়। শুক্রবার তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গুলামের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ধৃত ব্যক্তি নেহাতই মজার ছলে এই কাজ করেছেন নাকি এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। শুধু ইমরান খান নন, সেই তালিকায় আছে আরও দুই সদস্য। যাঁদের নাম রীতিমতো চমকপ্রদ। ধর্ষণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসারাম এবং গুরমীত রাম রহিম সিংহ। প্রশ্ন এখানেই গেরুয়া শিবিরে এমন ব্যক্তিদের নাম কিভাবে বারবার আসছে?