এবার বাংলাভাষী ত্রিপুরাতে থাবা বসাল হিন্দীর আগ্রাসন। ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিভাগে এতদিন জ্বলজ্বল করত বাংলা বিভাগ লেখাটি। অজ্ঞাত কারণে সেটি মুছে গিয়ে হিন্দিতে লেখা হয়েছে বিভাগটির নাম। সঙ্গে রয়েছে ইংরাজিও। কিন্তু নেই বাংলা ভাষায় লেখা বিভাগীয় নাম। ফলে বিতর্ক ছড়িয়েছে জোর।
অভিযোগ, বাংলাকে মেরে দিয়ে হিন্দী আগ্রাসন শুরু করা হচ্ছে বাংলাভাষী এই রাজ্যে। আরও অভিযোগ, বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর আরএসএস ত্রিপুরাতেও হিন্দী আগ্রাসন শুরু করার অছিলা খুঁজছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে বাংলায় লেখা মুছে দিয়ে হিন্দী করার পিছনেই সেরকমই ইঙ্গিত মিলেছে। প্রথমে বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনার পর কয়েকজন ধিক্কার জানিয়ে টুইট করেন। তারপরেই ‘বাংলা’ ফেরানোর দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় আন্দোলন শুরু হয়েছে। ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে এর আগেও গৈরিকিকরণের অভিযোগ উঠেছে। খোদ উপাচার্যই সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির পতাকা উত্তোলন করেন। তখনও বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হয়েছিল।
উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্য ত্রিপুরা পরাধীন ভারতের অন্যতম করদ রাজন্য। ১৮৮২ সালে ত্রিপুরার মহারাজ বীরচন্দ্র মাণিক্য কবি হিসেবে প্রথম সম্মান জানিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ-কে। পরে কবির সঙ্গে ত্রিপুরার রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। পরে রাজা রাধাকিশোরের অনুরোধে কবি ত্রিপুরায় রাজ অতিথিও হয়েছিলেন।