গণপিটুনির মতো ঘটনা দিন দিন ভাইরাসের মত ছড়িয়ে পড়ছে দেশজুড়ে। এই ইস্যুতেই দেশের ৪৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা চিঠি লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দফতরে। তারপরেও এই ঘটনা খুব একটা কমেনি। এর মধ্যেই ছেলেধরা সন্দেহে ৩ জন কংগ্রেস নেতাকে গণপিটুনি দিল উত্তেজিত জনতা।
ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের বেতুল জেলার নাভালসিং গ্রামে। বিষয়টির জানাজানি হওয়ার পর প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়েছে মধ্যপ্রদেশে। আক্রান্ত ওই তিন নেতা হলেন ধর্মেন্দ্র শুক্লা, ধারমু সিং লানজিওয়ার ও ললিত বারাসকার। পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে বেতুল জেলায় গিয়েছিলেন ওই ৩ কংগ্রেস নেতা। সেখান থেকে ফেরার সময় লক্ষ্য করেন নাভালসিং গ্রামের কাছে হাইওয়ের একটি অংশে ব্যারিকেড করা রয়েছে। বিষয়টি দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের। ডাকাতি করার জন্য দুষ্কৃতীরা রাস্তা আটকেছে বলে আশঙ্কা হয়।
এরপরই গাড়িটি ঘুরিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। আর তাতেই ঘটে যায় বিপত্তি। আচমকা চারিদিক থেকে দৌড়ে আসে প্রচুর লোক। তারপর কংগ্রেস নেতাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করে। ভাঙচুর চালানো হয় তাঁদের গাড়িতেও। পরে খবর পেয়ে গুরুতর জখম কংগ্রেস নেতাদের উদ্ধার করে পুলিশ।
বেতুলের সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক রামস্নেহ মিশ্র বলেন, “ওই এলাকা থেকে বেশ কিছুদিন শিশু চুরির অভিযোগ আসছিল। বৃহস্পতিবার রাতে এই ধরনের একটি খবরকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। অপহরণকারীদের ধরতে রাস্তা আটকে ছিলেন গ্রামবাসীরা। সেসময় ভুলবশত কংগ্রেস নেতাদের মারধর করা হয়। এই ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্তও চলছে।”
গত এক সপ্তাহে শিশু পাচারকারী সন্দেহে একাধিক ব্যক্তিকে মারধর করা হয়েছে মধ্যপ্রদেশে। বেতুলের পাশাপাশি এই ধরনের ঘটনা ঘটতে দেখা গিয়েছে ইন্দোর, ভোপাল, সেহর, হোসাঙ্গাবাদ, নিমুচ ও রাইসেন-সহ একাধিক এলাকায়। যা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্যজুড়ে।