রাজ্য সরকারি কর্মীদেরও কেন্দ্রের হারে মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুক্রবার মধ্যমগ্রামের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এবার সেই নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতির কথাও স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তিনি। মমতা বলেন, ‘দিতে তো চাই। কোথা থেকে এত টাকা আসবে?’
মধ্যমগ্রামে প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘টাকা তো দিতে চাই। কিন্তু এত টাকা কোথা থেকে আসবে সেটা দেখতে হবে। এ বছর ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ শোধ করতে হবে। তার উপর পে কমিশন রয়েছে’। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমার পক্ষে আর দেওয়া সম্ভব নয়। সরকার কর বাড়াবে না। জল কর নেবে না। বিদ্যুতের মাশুল বাড়াবে না। বিনা পয়সায় শিক্ষার ব্যবস্থা করবে। বিনা পয়সায় স্বাস্থ্য পরিষেবা দেবে। সরকার চলবে কোথা থেকে? এই যে এত মাইনে, হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ টাকাই বা সরকার কোথা থেকে দেবে?’
লোকসভা ভোটের পর এদিনই প্রথম জেলা স্তরে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে স্থানীয় নির্বাচিত এক প্রতিনিধির প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের টাকার অবস্থা ভাল নয়। চাইলেই টাকা পাওয়া যাবে না’। সেই সঙ্গে বলেন, ‘প্রত্যেকটা খরচ আগে থেকে ভেবে করতে হবে। আট বছর আগে মাসের এক তারিখে মাইনে হতো না। এখন হয়। আট বছরে গোটা রাজ্য ঘুরে দাঁড় করিয়ে দিয়েছি’।
সরকারকে এখনও কী রকম ঋণের বোঝা টানতে হচ্ছে এ দিন ফের ব্যাখ্যা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ওরা ২০০৬-০৭ সাল থেকে সব থেকে বেশি ঋণ নিয়েছিল। দশ বছর পর সেগুলো ম্যাচিওর করেছে। ফলে গত তিন বছর ধরে ৫০ হাজার কোটি টাকার উপর আমাকে সুদ গুণতে হচ্ছে। আমি যদি আজ ঋণ নিই তা হলে কী হবে? তিরিশ বছর পর সেই ঋণ কে শোধ করবে? এ গুলো দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ নয়’!