লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্ৰকাশের পর থেকেই বাংলায় বিজেপি নেতৃত্ব যেন লাগাম ছাড়া ছুটছেন। কখনও কাজে কখনও বা মুখের কথায়। মাত্রাহীন কথা বলে বিতর্কে জড়িয়েছেন বারবার। এইবার অসহিষ্ণুতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে লেখা বিশিষ্টজনদের লেখা চিঠি নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র সায়ন্তন বসু৷ এমনকি এই চিঠির জেরে কৌশিক সেনের ওপর হামলার জের টেনে তিনি তাঁকে খোঁচা দিয়েছেন। এমনকি সব বুদ্ধিজীবীদের ‘পারচেসড’ বলে বৃহস্পতিবার মন্তব্য করেন এই বিজেপি নেতা।
প্রসঙ্গত, বুধবার অসহিষ্ণুতার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন বুদ্ধিজীবীরা। ওই এই চিঠিতে সই রয়েছে মণিরত্নম, অনুরাগ কাশ্যপ, আদুর গোপাল কৃষ্ণণ, বিনায়ক সেন সহ আরও অনেকেই৷ পশ্চিমবঙ্গ থেকে সই করেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন, কৌশিক সেন, গৌতম ঘোষ, অনুপম রায় প্রমুখ প্রধানমন্ত্রীর কাছে শুধু বিবৃতি নয়, হিংসাত্মক আক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
এই চিঠি পাঠানোর পরই নাট্যব্যক্তিত্ব কৌশিক সেনের দাবি, বুধবার রাতে তাঁকে ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি। যদিও তা মানতে নারাজ বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। বৃহস্পতিবার সায়ন্তনবাবু বলেন, ‘কৌশিক নাটকের লোক, নাটক করেছেন। কে ওকে মারতে যাবে। এসব দর বাড়ানোর চেষ্টা।’ এর আগে রাহুল সিনহা তারপর সায়ন্তন বসু। এই রকম আক্রমণে রীতিমতো হতবাক হয়ে গেছেন সবাই। এর আগেও নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাই বারবার সমাজের সম্মানীয় ব্যক্তিদের এহেন আক্রমণ ভালো দেখছেন না অনেকেই।