বাংলার কৃষকদের উন্নতিকল্পে একাধিক কৃষকদরদী প্রকল্প এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার মধ্যে কৃষকবন্ধু প্রকল্প অন্যতম। রাজ্য সরকারের হিসেব অনুযায়ী বর্তমানে এই প্রকল্পের উপভোক্তা প্রায় ৪০ লক্ষ। শুধু তাই নয় ধান কেনায় ফড়েরাজ রুখতে অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠছে এই প্রকল্প।
চলতি আর্থিক বর্ষে ধান সংগ্রহের মরশুমে ফড়েরাজ আটকাতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিচ্ছে মমতার সরকার। আর এই ক্ষেত্রে কৃষকবন্ধু অন্যতম ভরসা যোগাচ্ছে। তাই এই প্রকল্পে সুবিধা প্রাপকদের তালিকা দফতরের ওয়েবসাইটে তুলে রাখার কাজ শুরু করেছে খাদ্য দফতর। ধান সংগ্রহের সময় সেই তালিকা মেলাবে দফতর।
খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, ওই তালিকায় সংশ্লিষ্ট কৃষকের জমির পরিমাণের হিসেব থাকছে। জেলা অনুযায়ী এক বিঘায় কত ধান উৎপন্ন হয় তার পরিমাণও আগেভাগেই নির্ধারণ করে থাকে কৃষি দফতর। সেই হিসেবও সুবিধা প্রাপক তালিকায় থাকবে। ফলে কোনও কৃষক যদি ওই হিসেবের বাইরে ধান বেচতে আসেন তা সহজেই ধরা পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
খাদ্য দফতরের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, কেউ হিসেবের বাইরে ধান বিক্রি করতে এলে তা ধরা যাবে। তাঁদের দাবি, কেউ যদি মনে করেন এক এলাকায় কিছুটা ধান বিক্রি করে বাকিটা অন্য এলাকায় করবেন তাও হবে না। ওয়েবসাইটে তথ্য থাকায় তা ধরা পড়বে।ধান সংগ্রহ-সহ সব কিছু নিয়েই আজ বুধবার খাদ্য দফতরে বৈঠক হওয়ার কথা।