গত শনিবার ডাইনি অপবাদ দিয়ে চারজন বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল ঝাড়খণ্ডে। ঘটনাটি ঘটেছিল গুমলার সিসাই পুলিশ স্টেশনের অন্তর্গত একটি গ্রামে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ডাইনি অপবাদ দিয়ে ২ মহিলা-সহ তিনজনকে মলমূত্র খাওয়ানোর অভিযোগ সেই ঝাড়খন্ডেই। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪ জন কে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের গিরিডি শহরের ঝাঁজরি মহল্লায়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরেই প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা গিরিডি শহরে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে দুজন মহিলা ও তাঁদের এক সঙ্গী গিরিডি শহরের ঝাঁজরি মহল্লার বাসিন্দা। তাঁরা ডাইনি বিদ্যা শিখত বলে অভিযোগ। এর জেরে আগেও তাঁদের নিষেধ করে স্থানীয়দের একাংশ। কিন্তু, তাঁরা সে কথা শোনেনি বলেই অভিযোগ। সম্প্রতি ঝাঁজরি মহল্লার কিছু মানুষ আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপরই খেপে উঠে এলাকাবাসীর একাংশ। তাদের অভিযোগ ছিল, ওই দুই মহিলা ও তাঁদের সঙ্গী ডাইনি বিদ্যার অনুশীলন করছেন। এর জেরেই এলাকার মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
বিষয়টিকে কেন্দ্র করে জল ঘোলা শুরু হলে তাঁদের আটক করে মারধর করে গ্রামবাসীদের একাংশ। এমনকী তাঁদের জোর করে মলমূত্রও খাওয়ানো হয়। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট হতেই সেটি ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল ভিডিওটি চোখে পড়ার পরে অবশেষে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। গ্রেপ্তার করা হয় এই ঘটনায় জড়িত থাকা চারজনকে। ধৃতদের নাম বীরা দাস (৫০), হরি দাস (৩২), ঝারিয়া দেবী (৩০) ও শান্তি দেবী (৪৮)। এই ঘটনায় জড়িত বাকি দু’জন ঘটনার পর থেকেই পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
সঠিক শিক্ষার অভাবেই সাধারণ মানুষের মনে বাসা বাঁধছে কুসংস্কার। জাঁকিয়ে বসেছে অন্ধবিশ্বাস। মনে করা হচ্ছে, প্রশাসনের তরফে গাফিলতি থাকাতেই বারবার এই ধরনের ঘটনা ঘটছে রাজ্যে। এর আগে গত শনিবারেই ডাইনি অপবাদ দিয়ে চারজন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা পিটিয়ে মারা হয়েছিল ঝাড়খণ্ডে। সেই ঘটনায় মৃতদের নাম ভগত (৬৫), ফাগনি দেবী (৬০), চম্পা ভগত (৬৫) ও পেটি ভগত (৬০)। সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই সেই একই ঘটনায় আঙুল উঠছে সেই রাজ্যের বিজেপি সরকারের দিকেই।