অবশেষে মিটল আস্থা ভোট নিয়ে টানাপোড়েন। কর্ণাটক বিধায়ক নাটকের যবনিকা পড়ল। মঙ্গলবারের আস্থা ভোটে হার হল কংগ্রেস-জেডিএস শিবিরের। মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে এইচ ডি কুমারস্বামীকে। ৯৯-১০৫ ভোটে হার হয়েছে জোট সরকারের। ২০৯ আসনের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে প্রয়োজন ছিল ১০৩ আসন।
প্রসঙ্গত, শনিবার পর্যন্ত আস্থা ভোটে গড়িমসি করছিলেন খোদ স্পিকার। কিন্তু, সোমবার তিনি নিজেই আস্থা ভোট করানোর নির্দেশ দেন সরকারপক্ষকে। জানিয়ে দেওয়া হয় সন্ধে ৬টার মধ্যে অনাস্থা প্রস্তাবে যাবতীয় আলোচনা শেষ করে ভোটাভুটির ব্যবস্থা করতে হবে। যা সরকারপক্ষকে রীতিমতো চাপে ফেলে দেয়। ডি কে শিবকুমার, সিদ্দারামাইয়ারা লাগাতার চেষ্টা করেন গিয়েছেন বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ করার। কিন্তু, তাতে কোনও লাভ হয়নি। অবশেষে শিবকুমার হুমকি দেন, বিধায়করা যদি ফিরে না আসেন তাহলে তাদের বিধায়ক পদ বাতিল করা হবে। মঙ্গলবার কংগ্রেসের পরিষদীয় নেতা সিদ্দারামাইয়া হুঁশিয়ারির সুরে জানান, যারা দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, কোনও ভাবেই তাঁদের ফেরত নেওয়া হবে না৷
তবে এত টানাপোড়েনের পর অবশেষে শেষ হল কর্ণাটক বিধানসভার ঘিরে তৈরি হওয়া জল্পনা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী জানান, ক্ষমতা কখনওই স্থায়ী হয় না৷ তিনি আস্থা ভোটকে ভয় পান না৷ তাই তিনি ভোটের জন্য তৈরি৷ এরপরই আস্থা ভোট শুরু হয়৷ অনাস্থার প্রস্তাব পেশ হয় বিধানসভায়৷ এবং জল্পনা মতোই ধ্বনিভোটে সমর্থন জোটাতে ব্যর্থ হন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী৷