নতুন কোনও বিপত্তি না হলে জুলাই-আগস্টের মধ্যেই রিপোর্ট জমা পড়তে পারে। আর তার ফলে পুজোর আগেই সুখবর পেতে পারেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। পে কমিশনের কথা বলতে গিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, রিপোর্ট জমা পড়লে কর্মীদের সাধ্যমতো অর্থ দেওয়া হবে। এবং তা শীঘ্রই। গতকাল ২১-এ জুলাইয়ের সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ১২৩ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা(ডিএ) দিয়েছি। আমাদের মাথার ওপর ঋণের বোঝা নিয়ে সরকার শুরু করেছি। আমরা প্রতি বছর ৫০ হাজার কোটি টাকা ঋণ ফেরত দিচ্ছি। তার মধ্যেও কর্মীদের কথা সব সময় ভাবি। তাঁদের জন্য আমাদের সরকার চিন্তা করে। কিন্তু টাকা না থাকলে কী করব? তাও পে কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়লে আমরা সাধ্যমতো, যতটা পারব দেব।
প্রসঙ্গত, বেতন কাঠামো বৃদ্ধি নিয়ে ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে ষষ্ঠ পে কমিশন গঠন করেন মুখ্যমন্ত্রী। কয়েক দফায় কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি হয়। জানা গেছে, সম্প্রতি কমিশনের চেয়ারম্যান অভিরূপ সরকারকে নবান্নে ডেকে পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পর পে কমিশনে রিপোর্ট জমা দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। কমিশনের অন্দরের খবর, দু’টি ভাগে রিপোর্ট লেখার কাজ প্রায় শেষ। জুলাই-অগস্টের মধ্যেই রিপোর্ট জমা পড়তে পারে। কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়ার পরে অর্থ দফতর ‘ইমপ্লিমেন্টেশন কমিটি’ তৈরি করবে। সেই কমিটি মাসখানেকের মধ্যে রিভিশন অব পে অ্যান্ড অ্যালাউন্স (রোপা), ২০১৯ প্রকাশ করে দিলে পুজোর মধ্যেই নতুন বেতন কমিশন চালু করে দেওয়া সম্ভব বলে দাবি করেছেন নবান্নের শীর্ষ কর্তাদের একাংশ।