ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে হারের পরে প্রথম ক্রিকেট মহলের নির্বাচনী বৈঠক। আর আরব সাগরের পারে একাধিক প্রশ্নের ঢেউয়ে উথালপাথাল হতে চলেছে ভারতীয় ক্রিকেট মহল। যার মধ্যে অবশ্যই সব চেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ, ধোনিকে নিয়ে ভবিষ্যৎ রূপরেখা তৈরি করা। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির উত্তরসূরি হিসেবে ঋষভ পন্থের যাত্রা কি এখান থেকেই শুরু হতে চলেছে?
আপাতত টেরিটোরিয়াল আর্মির ডেরায় সময় কাটাতে যাচ্ছেন ধোনি। তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। তবে অবসর নিয়ে মনের ইচ্ছার কথা এখনও নির্বাচকদের বা টিমকে খোলাখুলি জানাননি ধোনি। আগামী দু’বছরে দু’টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবে ভারত। সেখানে তরুণ এবং তাজা রক্ত দরকার।
ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম নির্বাচনী বৈঠক, যেখানে বোর্ড সচিব আর সভার মুখ্য পরিচালক থাকছেন না। এত দিন ধোনির মতো সুপারস্টারদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের ক্ষেত্রে বোর্ড বড় ভূমিকা নিয়ে এসেছে। সেটা এখনও নেপথ্যে হতে পারে কিন্তু সভায় বসে বোর্ড প্রতিনিধির প্রভাব বিস্তার করার দিন শেষ। আহ্বায়কের ভূমিকায় থাকবেন নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান। কিন্তু এখানেও পাল্টা প্রশ্ন উঠছে যে, এম এস কে প্রসাদের মতো ছ’টি টেস্ট এবং সতেরোটি ওয়ান ডে খেলার ন্যূনতম অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কারও হাতে আহ্বায়কের দায়িত্ব ছাড়া কতটা যুক্তিযুক্ত?
সব মিলিয়ে আরব সাগরের পারে বদলের হাওয়া। বাংলার ক্রিকেট মহলও এই পরিবর্তনের আবহে রবিবারের সভার দিকে অধীর আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে। একে তো টেস্টে দ্বিতীয় উইকেটকিপার হিসেবে ঋদ্ধিমান সাহার প্রত্যাবর্তনের আশায় রয়েছেন বঙ্গ ক্রিকেটের সমর্থকেরা। সঙ্গে প্রবল কৌতূহল তৈরি হয়েছে অভিমন্যু ঈশ্বরনকে নিয়ে।
২০১৮-তে কেপ টাউনে নববর্ষের টেস্টের পরে আর ভারতের হয়ে খেলেননি ঋদ্ধি। চোটের জন্য এক বছরের উপর বাইরে থাকতে হয়েছে। চৌত্রিশ বছরের ঋদ্ধি জাতীয় দলে ফেরার জন্য লড়ছেন এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফররত ভারতীয় ‘এ’ দলে জায়গা পাওয়াটা অবশ্যই মনোবল বর্ধক। ঋদ্ধি বাইরে থাকার সময় ক্রিকেট আকাশে উদয় ঘটেছে ঋষভ পন্থের। ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ায় সেঞ্চুরি করার পরে কোনও সন্দেহ নেই যে, তিনিই এখন টেস্টে কোহালিদের এক নম্বর উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। ররিবারের বৈঠক এমনকি, তিন ফর্ম্যাটেই এক নম্বর কিপার হিসেবে পন্থের উত্থান দেখতে পারে।
বাংলার ওপেনার সাম্প্রতিককালে ভারতীয় ‘এ’ দলের হয়ে দারুণ সব ইনিংস খেলেছেন। ‘এ’ দলের হয়ে দু’টি ডাবল সেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর নামের পাশে। অভিমন্যুর সঙ্গে লড়াই গুজরাতের প্রিয়ঙ্ক পঞ্চালের। শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে পঞ্চাল ১৬০ করেছিলেন। সেই ম্যাচেই অভিমন্যু করেন ২৩৩। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৪৬টি ম্যাচ খেলার পরে তাঁর গড় ৫১.৪২।