যে বাংলাকে সবসময় বঞ্চনা উপেক্ষা করে থাকে কেন্দ্র এবার সেই বাংলাকেই দরকার হল যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে। নেপাল থেকে মুক্ত সীমান্ত পেরিয়ে দুটি দাঁতাল এদেশে ঢুকেছিল জুনের ২৭ তারিখ। তার পর সীমান্ত লাগোয়া পিলিভিট থেকে বরেলি আসার পথেই তারা প্রাণ নিয়েছে তিন গ্রামবাসী এবং এক বনকর্মীর। নষ্ট করেছে বিঘার পর বিঘা ফসল। জঙ্গল পরিস্থিতি এতটাই হাতের বাইরে যে, অন্তত ৬টি গ্রামে দিনরাত সশস্ত্র প্রহরার ব্যবস্থা করতে হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনকে। কিন্তু তাতেও দাঁতাল যুগল এলাকা ছাড়েনি। এই দাঁতালের আক্রমণ রুখতেই বাংলাকে দরকার যোগীর।
সোমবার, ১৫ জুলাই উত্তরপ্রদেশের প্রধান মুখ্য বনপাল পশ্চিমবঙ্গের বন দফতরকে চিঠি দিয়ে আর্জি জানিয়েছেন, ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে ওই দাঁতালদের বাগে আনতে এই রাজ্য থেকে বিশেষজ্ঞ লোক পাঠানো হোক। যোগীর রাজ্যের ওই আর্জিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে মঙ্গলবারই এই কাজের জন্য বিশেষ দলের সদস্যদের নাম প্রস্তাব করে তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বন দফতরের প্রধান সচিবের কাছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বন দফতরের প্রধান কার্যালয়, দুর্গাপুর ও বর্ধমান ডিভিশন থেকে যোগীর রাজ্যে বনকর্মীরা যেতে পারেন, নেতৃত্ব দেবেন ঘুমপাড়ানি গুলি চালনায় বিশেষজ্ঞ সুব্রত পালচৌধুরী। আপাতত সরকারের সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষা।
কিন্তু ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়বে কে? পশ্চিমবঙ্গের বন দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, বাংলায় বিভিন্ন এলাকায় মানুষ-হাতির সহাবস্থান রয়েছে বহু বছর ধরে। সেই কারণে অনভিপ্রেত ঘটনাও বেশি ঘটে। আর তাই এই রাজ্যের বনকর্মীরা তেমন পরিস্থিতি সামলাতে এবং ঘুমপাড়ানি গুলিতে মত্ত হাতিকে কাবু করতে পারদর্শী। সেই অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখেই যোগীর রাজ্য থেকে সাহায্যের আবেদন এসেছে। এর আগেও, ৩ জুলাই মধ্যপ্রদেশের বন দপ্তরের ডাকে সাড়া দিয়ে সেখানকার বনকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে বিশেষজ্ঞ পাঠিয়েছিল রাজ্য বন দফতর। ওই সময় ছত্তিসগড় থেকে ঢুকে পড়া হাতির পাল নিয়ে সমস্যায় পড়েছিল মধ্যপ্রদেশ।