বাংলার শাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকেই স্বাস্থ্যখাতের উন্নতিতে কড়া নজর দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উদ্যোগেই বাংলার মানুষ পেয়েছেন একাধিক প্রকল্প। ২০১১ সালে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ ছিল ৬৮২ কোটি টাকা যেই বরাদ্দ চলতি অর্থবর্ষে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৯৫৫২.৭ কোটি টাকা। মমতার একান্ত উদ্যোগেই এই বরাদ্দ বেড়েছে।
বাজেট পেশ করার সময় বিধানসভায় স্বাস্থ্যদফতরের প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনস্থ রাজ্য সরকারের আমলে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সর্বস্তরে এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন হয়েছে এই রাজ্যে। স্বাস্থ্য পরিষেবা ও চিকিৎসা শিক্ষাকে গত আট বছরে সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। আর এর ফলে দুই ক্ষেত্রেই উন্নতি হয়েছে প্রচুর।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ২০১১-র তুলনায় এখন প্রতি সরকারি হাসপাতালে ডাক্তারের সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশী। ২০১১ সালে যেখানে সরকারি হাসপাতালে ডাক্তারের সংখ্যা ছিল ৪৫০০, বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ১০,৯০০। পাশাপাশি ২০১১ সালে নার্সের সংখ্যা ছিল ৩৭,৩৬৬ যা বর্তমানে বেড়ে হয়েছে ৫২,৮২০। ৩৪ বছরের বাম শাসনকালে প্রায় কোনও ডাক্তার ও নার্স নিযুক্ত হননি রাজ্যে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা ১৩,৬০০ যার মধ্যে ১৩,০০০ শয্যায় রোগী ভর্তি থাকে যা প্রায় সমস্ত শয্যার প্রায় ৯১ শতাংশ। সারা রাজ্যে জেলা হাসপাতালে ডিজিটাল এক্সরে, সিটি স্ক্যান, ডায়ালিসিস, এমআরআই পরিকাঠামো তৈরী করা হয়েছে। জেলা হাসপাতাল থেকে শহরের হাসপাতালে রোগী পাঠানোর সংখ্যাও দ্রুত কমছে।
রাজ্য সরকার ৪২টি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল তৈরী করেছে সারা রাজ্যে। এবং সমীক্ষা করে খুঁজে নেওয়া হয়েছে প্রত্যন্ত স্থানগুলিকে। চিহ্নিত করা হয়েছে বিভিন্ন ভিত্তিতে। যেমন, কোন অঞ্চল দুর্ঘটনাপ্রবণ, কোথায় চোখের রোগ বেশী হয় ইত্যাদি। এবং সেই অনুযায়ী সেই অঞ্চলের হাসপাতালে সেই চিকিৎসায় বেশী জোর দেওয়া হয়েছে। ২০১১ সাল পর্যন্ত রাজ্যে ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটের সংখ্যা ছিল মাত্র একটি যা বেড়ে হয়েছে ৪৪। এর সঙ্গে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট যোগ করলে মোট সংখ্যা ৬৯।