ক্ষমতায় আসার পরে দলকে সবসময়েই স্বচ্ছ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের দলে কোনরকম অসততা, মিথ্যাচার কখনই বরদাস্ত করেন না মমতা। আগামী বিধানসভা ভোটের আগে দলকে আরও স্বচ্ছ করার অঙ্গীকার নিয়েছেন মমতা। তাই কড়া নির্দেশ দিয়েছেন তাঁর দলের কেউ যদি কাটমানি নিয়ে থাকেন তাহলে অবিলম্বে তা ফেরত দিতে। এবার কাটমানি প্রসঙ্গে মুখ খুললেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সৎ বলেই তিনি এই কথা বলতে পেরেছেন”।
গতকাল শ্রীরামপুর এমএস ময়দানে দুর্গাপুজোর খুঁটিপুজো অনুষ্ঠানে এসে তিনি বলেন, ‘কাটমানি ফেরতের কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তাঁর রাজনৈতিক সততার জন্যই এই কথা বলতে পেরেছেন। কেউ কাটমানি নিয়ে থাকলে তা ফেরত দেওয়ার যে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন তা ভারতবর্ষে নজিরবিহীন।’
সাংসদের প্রশ্ন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তো এইরকম মন্তব্য করার সাহস কখনও দেখাননি। রাফালে যে ১১ হাজার কোটি টাকা কাটমানি নেওয়া হয়েছে তা ফেরত দেওয়ার কথা তো প্রধানমন্ত্রী বলেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সৎ বলেই এ কথা বলতে পেরেছেন। নেত্রী পরিষ্কার জানিয়েছেন, যদি কেউ কাটমানি নিয়ে থাকেন সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার, তার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।’
নাম না করে মুকুল রায় প্রসঙ্গে কল্যাণবাবুর মন্তব্য, ‘এ রাজ্যে যে সবচেয়ে বেশি কাটমানি নিয়েছে সে এখন রাজ্য বিজেপি–র সব থেকে বড় নেতা।’ কেন্দ্রীয় বাজেট প্রসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, ‘এই বাজেট বাঙালি বিরোধী। বাঙালিকে শেষ করতেই এই বাজেট করা হয়েছে।’ মমতা তৃণমূলকে জলের মত স্বচ্ছ করে তুলতে যেভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছেন সেই অঙ্গীকারকে যে কল্যাণের মন্তব্য আরও দৃঢ় করে তুলল তা বলাই বাহুল্য।