ফের গোরক্ষকদের তাণ্ডব। গরু পাচার করার অভিযোগে ২৪ জনকে একসঙ্গে বেঁধে, রাস্তায় হাঁটু মুড়ে, কান ধরে বসিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল এক দল গোরক্ষকদের বিরুদ্ধে। মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়া জেলার সাভালিকেড়া গ্রামের ঘটনা।
আক্রান্তরা খান্ডোয়া, সেহোর, দেওয়াস ও হরদা জেলার বাসিন্দা। ২৪ জনের মধ্যে ৬ জন মুসলিম ছিলেন। আক্রান্তদের দাবি, মহারাষ্ট্রে পশু মেলায় গরু নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, সাভালিকেড়া গ্রামে পৌঁছতেই এক দল গোরক্ষক তাঁদের ঘিরে ধরেন। তাঁরা সংখ্যায় প্রায় ১০০-জনের মতো ছিলেন। গরু চুরির অভিযোগ তুলে বেধড়ক মারধর করা শুরু করেন গোরক্ষকরা। তার পর দড়ি দিয়ে বেঁধে তিন কিলোমিটার তাঁদের হাঁটিয়ে খালোয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। শুধু তাই নয় অভিযোগ, হামলাকারীরা তাঁদের জোর করে ‘গো মাতা কি জয়’ বলতে বাধ্য করেন।
এই ঘটনায় হামলাকারীদের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তারা জানিয়েছে, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। এই মধ্যপ্রদেশেই গত মে-তে গোমাংস নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে গাছে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল গোরক্ষকদের বিরুদ্ধে। বার বার একই ঘটনা ঘটছে, তার পরেও দোষীরা ছাড় কী ভাবে ছাড় পেয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্য প্রশাসন।
সোমবার থেকে মধ্য প্রদেশ বিধানসভার বর্ষাকালীন অধিবেশন। গোরক্ষকদের তাণ্ডব রুখতে এই অধিবেশনেই নতুন বিল আনার কথা। এই বিল পাস হলে কোনও গোরক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল এবং ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। তার আগের দিনই গোরক্ষকদের এই তাণ্ডবের খবরে অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসক এবং বিরোধী, দুই দলই।