দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেটেও বাংলাকে ‘ছাগলের তৃতীয় সন্তান’ করে রেখেছে মোদী সরকার। গতকাল পেশ হওয়া কেন্দ্রীয় বাজেটে বাংলার জন্য কোনও বিশেষ প্রকল্পের ঘোষণা তো হয়ই না, বরং রাজ্যের বেশ কিছু চলতি প্রকল্পে বরাদ্দ শুন্য করে দেওয়া হয়েছে। এমনকী, রাজ্যে থাকা কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির ক্ষেত্রেও বরাদ্দের পরিমাণও যৎসামান্য। যা দেখে বিলগ্নিকরণের তালিকায় চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কস-কে (সিএলডব্লিউ) আনা হতে পারে এই আশঙ্কায় কোমর বেঁধেছে প্রায় সব শ্রমিক সংগঠন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবারই প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এ বারের বাজেট বিলগ্নিকরণের বাজেট। সিএলডব্লিউ রাজ্যের অন্যতম পুরনো ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। তার উপরে কোনও রকম আঘাত এলে তৃণমূল সর্ব শক্তি নিয়ে পথে নামবে।’ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, তিনি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন সিএলডব্লিউ-সব বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বরাত দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। এখন কেন্দ্র সেগুলিকে ‘মেরে ফেলার’ ছক কষছে। মমতা বলেন, ‘তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনকে নির্দেশ দিয়েছি, অবিলম্বে পথে নেমে প্রতিবাদ সংগঠিত করতে হবে। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের আন্দোলন চলবে। মানুষ কেন্দ্রের এই ভূমিকা কিছুতেই মেনে নেবেন না।’
অন্যদিকে, কারখানাকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া বা বন্ধের চক্রান্ত করছে কেন্দ্রীয় সরকার, এই অভিযোগে প্রায় দু’ঘণ্টা এ দিন চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কস-এ (সিএলডব্লিউ) বিক্ষোভ দেখান প্রায় দশ হাজার কর্মী। আবার, বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট (এএসপি)-সহ দেশের তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানার কৌশলগত বিলগ্নিকরণের জন্য দ্বিতীয় বারের জন্য ‘গ্লোবাল টেন্ডার’ ডেকেছে সেল। তারই প্রতিবাদে গতকাল কারখানার গেটে সিটু ও আইএনটিইউসি যৌথ ভাবে বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভে যোগ না দিলেও প্রতিবাদের বিষয়টির সঙ্গে তারা সহমত বলে জানায় আইএনটিটিইউসি ও বিএমএস।