রাহুল গান্ধী কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ২ দিন হতে চললো। এবার রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে পরবর্তী কংগ্রেসের সভাপতি কে হবেন সেই নিয়ে। এই মুহূর্তে রাহুল গান্ধীর ‘বিকল্প’ খুঁজতে দলের অন্দরেই দ্বিধাবিভক্ত শীর্ষ নেতৃত্ব।
রাহুলের ইস্তফার পর দলের একাংশ চাইছেন, অভিজ্ঞ এবং পোড় খাওয়া কোনো নেতার হাতেই সভাপতির রাশ থাকুক। আবার কেউ কেউ চাইছেন, রাহুল গান্ধীর দেখানো পথেই এগোনো উচিত। অর্থাৎ তরুণ মুখ তুলে আনা উচিত সভাপতি পদে। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেসের নেতা অমরিন্দর সিং আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন, “কংগ্রেসে তাজা রক্ত চাই। যাতে তাঁর ক্যারিশ্মায় দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তো বটেই, তৃণমূল স্তরের কর্মীরাও উদ্বুদ্ধ হবেন।”
এদিন অমরিন্দর সিং টুইটে জানান, “রাহুলের ইস্তফা দুর্ভাগ্যজনক। রাহুলের মতোই এমন কেউ তরুণ সভাপতি হোন, তিনি কংগ্রেসকে নতুন দিশা দেখাতে পারে।” কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে তাঁর পরামর্শ, তরুণ মুখই দলের গতি আনতে পারে। দেশের মোট জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশ ৩৫ বছরের নীচে। তাঁদের মূল স্রোতে ফেরাতে তরুণ মুখের প্রয়োজন বলেই মত অমরিন্দরের।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, সভাপতি পদে সুশীল কুমার শিন্ডে এবং মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম উঠে আসছে। দু’জনের বয়স যথাক্রমে ৭৭ ও ৭৬। শিন্ডে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ২০০২ সালে দলের সহ সভাপতি পদে নমিনি ছিলেন তিনি। উল্টোদিকে মল্লিকার্জুন খাড়গেও কংগ্রেসের পোড়খাওড়া নেতা। দীর্ঘদিন ধরে সাংসদ ছিলেন তিনি। এবারের লোকসভায় কর্নাটকের গুলবার্গ কেন্দ্র থেকে বিজেপির উমেশ জি যাদবের কাছে প্রায় এক লক্ষ ভোটে পরাজিত হন।