ফের আরও একবার জারি হল অ্যালয় স্টিল কারখানার কৌশলগত বিলগ্নিকরণের বিজ্ঞপ্তি। ২০১৮-র ১৪ ফেব্রুয়ারির পর ফের ৪ জুলাই ২০১৯। দ্বিতীয় দফায় আবার জারি করা এই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১ আগস্ট সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে কিনতে ইচ্ছুক সংস্থাকে তাদের ইচ্ছা প্রকাশ করতে হবে। গতবারের ন্যায় এবারও একসঙ্গে সেইলের তিনটি কারখানা যথাক্রমে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট, ভদ্রাবতী স্টিল প্ল্যান্ট ও সালেম ইস্পাত কারখানায় কৌশলগত বিলগ্নিকরণের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে। আর এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন শ্রমিকরা। মনে করা হচ্ছে, স্থানীয় বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার মদতেই এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন তিনি।
নীতি আয়োগের পরামর্শ মোতাবেক ২০১৭ সালেই কেন্দ্র এই তিনটি কারখানা বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মতো ২০১৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সেইল। ফের সেই বিজ্ঞপ্তি। মনে করা হচ্ছে, এবারও কেন্দ্রীয় সরকারের এই চক্রান্তকে রুখে দিতে পারবে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের শ্রমিকরা। কারখানার সিটু ইউনিয়নের সহ-সভাপতি বিজয় সাহা বলেন, “আমরা নিশ্চিত এবারও শ্রমিকরাই ঠেকাবে এই কেন্দ্রের চক্রান্তকে। কোনওভাবেই কারখানার গেট ছাড়ব না। আগেও এই উপায়েই রুখেছিলাম কারখানা বিক্রির চেষ্টাকে। এবারও একইভাবে সবাই মিলেই আটকাতে সমর্থ হব। আন্দোলনের চূড়ান্ত প্রস্তুতিও চলছে।”
সূত্রের খবর, দলের পলিসির বাইরে গিয়ে প্রথমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় অ্যালয় স্টিলের কৌশলগত বিলগ্নিকরণ রুখতে শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই কারণে কেন্দ্রের কাছে তাকে ভর্ৎসনাও শুনতে হয়েছিল। সেই কারণে মনে করা হচ্ছে, এবার আর বাবুল দলের বিরুদ্ধাচারণ করবেন না।
অন্যদিকে অ্যালয় স্টিল কারখানায় ফের বিলগ্নিকরণের বিজ্ঞপ্তি সহ বিস্তারিত জানানো হলেও বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া কোনও মন্তব্য করেননি। তিনি শুধু জানান, “আগে সমস্ত নথি দেখি। তারপর এই বিষয়ে কথা বলবো।” যদিও অ্যালয় স্টিল কারখানার শ্রমিকরা তাঁর কাছ থেকে কিছুই আশা করে না বলে সিটুর-সহ সভাপতি বিজয় সাহা বলেন, “এটা বিজেপির পলিশি ডিসিশন। আর দলের মদতে সাংসদ আলুওয়ালিয়া নিজে দাঁড়িয়ে থেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে তা তুলে দিতে চায় তাদের পেটোয়া শিল্পপতিদের হাতে।”