সকাল থেকেই ভাতারে বিজেপি আশ্রিত দুই দুষ্কৃতীর বোমাবাজিতে উত্তেজনা ছিল চরমে। গ্রামবাসীদের কাছে বেধড়ক মার খায় ধৃত দুই দুষ্কৃতী। আর তারপর থেকেই তান্ডব চালাচ্ছে গেরুয়া সমর্থকরা। অভিযোগ, প্রায় এক দেড়শ বিজেপি কর্মী সমর্থক জড়ো হয় শম্ভু মালিক নামে এক তৃণমূল কর্মীর দোকানে। নবাবনগর বাসস্ট্যান্ডে শম্ভুর চায়ের দোকান। সেটি ভাঙচুরের পাশাপাশি শম্ভুবাবুকে বেধড়ক পেটায় বিজেপি কর্মীরা।
ঘটনার খবরে ৭ থেকে ৮ জন পুলিশকর্মী নবাবনগর কলোনিতে পৌঁছন। উত্তেজিত জনতা সঙ্গে সঙ্গে চড়াও হয় তাঁদের উপর। পাশের জঙ্গলে কোনও রকমে আশ্রয় নেন পুলিশ কর্মীরা। পুলিশের গাড়ি সামনে পেয়ে তাতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। তার পর আহত শম্ভু মালিককে ফেলে রেখে পালায়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে ভাতার গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, দুই হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে তাঁর। মাথাতেও গুরুতর আঘাতের জন্য তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত হন মধুমিলন ভাণ্ডারি নামে এক এসআই এবং মাধব দে নামে এক কনস্টেবল। তাঁদেরকে ভাতার হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
তৃণমূলের অভিযোগ, নবাবনগর-এরুয়ার প্রমুখ এলাকায় একটানা সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। তৃণমূলের ভাতার ব্লক নেতা মানগোবিন্দ অধিকারী বলেন, “এর আগেও নবাবনগর কলোনিতে আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। পুলিশ অপরাধীদের ধরতে পারছে না। আমরা জেলার পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দেব।”
পুলিশ জানিয়েছে, নবাবনগর কলোনিতে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করতে চলেছে পুলিশ। আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর পক্ষ থেকেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ভোট পরবর্তী সময়ে রাজ্যজুড়ে এইরকম একের পর এক সন্ত্রাস চালিয়ে চলেছে বিজেপি সমর্থকরা।