অ্যাপ ক্যাবের ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে অ্যাপ ক্যাবের সঙ্গে যোগ দিল বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশন-সহ একাধিক ট্যাক্সি সংগঠন। আর তাই সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে নিত্য যাত্রীদের আরও বেশি নাকাল হওয়ার সম্ভাবনা আছে। দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছতে অনলাইন ক্যাব বুক করার কোনও উপায় তো রইলই না৷ উপরন্তু পথচলতি বা ট্যাক্সি স্ট্যান্ড থেকে হলুদ ট্যাক্সিতেও যে সওয়ার হবেন, সেই রাস্তাও বন্ধ আজকের মতো৷ সকালে রাস্তায় এটাই এখন চিন্তা হয়ে দাঁড়াচ্ছে নিত্যযাত্রীদের৷
পুলিশি জুলুম বন্ধ এবং যাত্রীভাড়া না বাড়িয়ে ক্যাবমালিক এবং অপারেটরদের ভাড়ায় সমতা আনার দাবিতে সোমবার থেকে ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দেয় অ্যাপ-ক্যাব সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্যাব অপারেটর্স গিল্ড। আর সেই ধর্মঘটের প্রথম দিন প্রভাব পড়ল ভালই। ধর্মতলায় ভাঙল অ্যাপভিত্তিক দুটি গাড়ির কাচ, ভাঙা হয়েছে লুকিং গ্লাসও। একাধিক জায়গায় গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্যাব অপারেটর্স গিল্ডের তরফে ইন্দ্রনীল রায় জানিয়েছেন, “দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার কারণেই এই ধর্মঘট ডেকেছি৷’’
সোমবার অ্যাপ ক্যাব ধর্মঘটের প্রথম দিনও ছবিটা ছিল বেশ অশান্তির। আর ক্যাব ধর্মঘট হওয়ায় সাধারণ মানুষের ভরসার জ্যগা ছিল শহরের হলুদ ট্যাক্সি। ঝোপ বুঝে কোপ মারল তারাও। রাজ্য প্রশাসন অবশ্য যাত্রীদের সাহায্যে হাত বাড়িয়েছে৷ পরিবহণ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, যাত্রী ভোগান্তি দূর করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক বাস চালানো হয়েছে। আজও চলবে অতিরিক্ত বাস৷ তবে তাতে ভিড়ের জেরে খুব একটা সুবিধা হয়নি যাত্রীদের৷ আর সুযোগ বুঝে পকেট ফাঁকা করল হলুদ ট্যাক্সি। তবে অনলাইন ক্যাবের চাকা যে একেবারেই বসে গিয়েছিল, তাও নয়৷ তবে বুকিংয়ের প্রায় ৪০,৪৫মিনিট পর ক্যাব মিলল এবং ভাড়া অন্যান্য দিনের চেয়ে অনেকটাই বেশি বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা৷ ক্যাব ধর্মঘটের প্রথমদিন হাতে গোনা কয়েকটি ক্যাবে চড়ল সারচার্জের কাঁটা। ফলে ধর্মঘটের গেরোয় পকেট ফাঁকা আম-আদমির। আর আজ দুর্ভোগ এবং ট্যাক্সির ভাড়া আরও কয়েকগুণ বাড়বে বলেই আশঙ্কা সাধারণ মানুষের৷