মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীক্ষ্ণ নজরে অনেক উন্নত হয়েছে বাংলার শিক্ষাব্যবস্থার হাল৷ হ্রাস পেয়েছে বেকারত্বও৷ এবার শিক্ষার্থীরা যাতে ছোট থেকেই কম্পিউটার শিখতে পারে তাই নিয়ে উদ্যোগী হল রাজ্য৷ এবার সব স্কুলে প্রথম শ্রেণী থেকেই দেওয়া হবে কম্পিউটার শিক্ষার পাঠ৷
সহজপাঠের সঙ্গেই কম্পিউটার শিখবে রাজ্যের খুদে পড়ুয়ারা। শুধু তাই নয়, প্রথম থেকে অন্তত মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত রাজ্যের সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে বিনামূল্যে চালু হতে চলেছে কম্পিউটার সাক্ষরতা।প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুলগুলিতে অবশেষে বাধ্যতামূলক হওয়ার পথে কম্পিউটার শিক্ষা। এর জন্য রাজ্যের প্রায় ৬৫ হাজার স্কুলের জন্য কম্পিউটার কেনা হবে। কম্পিউটার শেখাতে নিয়োগ করতে হবে শিক্ষকও।
সব মিলিয়ে আর কয়েক মাসের মধ্যেই সারা বাংলায় এই কাজে হাত দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা কম্পিউটার শিক্ষার উপর জোর দিয়েছি। কম্পিউটার শিক্ষা পাঠ্যক্রমে যেন থাকে তার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।’
বিকাশ ভবন সূত্রের খবর, পাঠ্যক্রমের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকারের তৈরি সিলেবাস কমিটি। পাশাপাশি ৬৫ হাজার স্কুলের কোথায় কেমন ছাত্র সংখ্যা সেই তথ্যও আনা হয়েছে। স্কুলে ৫০ জন ছাত্রছাত্রী থাকলে সর্বাধিক চারটি করে কম্পিউটার দেওয়া হতে পারে। এই কম্পিউটার কিনতে কয়েক কোটি টাকা খরচ হবে রাজ্য সরকারের। তবে কোনও তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করা যায় কি না সেই সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাতে খরচ কিছুটা কমবে।
অনেকেই মনে করছেন, স্কুলে স্কুলে কম্পিউটার পৌঁছলে শুধু শিক্ষালাভই নয়, শিক্ষার সামগ্রিক বিষয়টিও ছাত্রছাত্রীদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। বিশেষ করে একেবারে খুদে পড়ুয়াদের কাছে কম্পিউটার হয়ে উঠতে পারে খেলার ছলে শিক্ষা লাভের মাধ্যম।
অধ্যাপক সুকান্ত চৌধুরী ও অন্যান্য শিক্ষকরা মিলে স্কুলে স্কুলে কম্পিউটারের মাধ্যমে গল্পের ক্লাস করান। তাতেও দেখা যায় ছাত্রছাত্রী দারুণ সাড়া দিচ্ছে। আমরা মনে করি প্রাথমিক স্কুলগুলিতে অবিলম্বে কম্পিউটার দেওয়া উচিত।’
রাজ্য সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদারের বক্তব্য, ‘প্রযুক্তিগত জ্ঞান পড়ুয়াদের যত বাড়বে, তার সঙ্গে সঙ্গেই কম্পিউটারের মাধ্যমে শিক্ষাদানের মাত্রাও বাড়ানো হবে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে ভূগোল, বিজ্ঞানের পাশাপাশি সাহিত্যের পাঠও কম্পিউটারের মাধ্যমে দেওয়া সম্ভব হয়।’ শিক্ষা গবেষক তথা প্রতীচী ট্রাস্টের গবেষণা বিভাগের অধিকর্তা কুমার রাণার বক্তব্য, ‘কম্পিউটার থাকলে ছাত্রছাত্রীদের কাছে ক্লাসরুম আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।