আজ দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়াত হলেন শ্রমিক নেতা রমেন পাণ্ডে। তাঁর পরিবার সূত্রে খবর, কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। গত সপ্তাহে তাঁর কিডনি প্রতিস্থাপিত হয়। সে সময় থেকেই ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। নিয়মিত ফিজিয়োথেরাপি চলছিল তাঁর। ক্রমশ শারীরিক অবস্থার উন্নতিও হচ্ছিল। পরিজন ও অনুগামীদের সঙ্গে কথাবার্তাও বলছিলেন। তবে এ দিন সকালে হঠাৎই তাঁর অবস্থার অবনতি হয়। সকাল ১১টা নাগাদ মৃত্যু হয় রমেনবাবুর।
এক সময় কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি পদে ছিলেন রমেন পাণ্ডে। তবে ওই সংগঠনে বরাবরই তিনি প্রদীপ ভট্টাচার্যের বিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কয়েক বছর আগে আইএনটিইউসি-র সভাপতি পদে নির্বাচিত হন প্রদীপবাবু। সে সময় সংগঠনের বিরোধী গোষ্ঠী একটি পাল্টা সম্মেলন ডেকে সভাপতি হিসাবে রমেনবাবুর নাম ঘোষণা করেন। মাস কয়েক আগেও ফের একই পরিস্থিতি হয়েছিল। আইএনটিইউসি-র সর্বভারতীয় স্তরে সঞ্জীব রেড্ডির গোষ্ঠী এ রাজ্যে যাঁকে সভাপতি করেছিলেন, তাঁকে সরিয়ে একটি পাল্টা সম্মেলনে ফের রমেনবাবুকে সভাপতি করা হয়েছিল। রেড্ডির বিরোধী চন্দ্রশেখর দুবের গোষ্ঠী রমেনবাবুকে সংগঠনের সভাপতি হিসাবে মান্যতা দেয়।
প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রে খবর, রমেন পাণ্ডেকে শ্রদ্ধা জানানোর উদ্দেশ্যে তাঁর দেহ এ দিন সাড়ে চারটে নাগাদ প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যালয় ‘বিধান ভবনে’ আনা হবে। রমেনবাবুর অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ও মর্মাহত তাঁর অনুগামী তথা রাজনৈতিক মহল। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে এ দিন শোকবার্তা দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্র। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘‘দীর্ঘ দিনের সহযোদ্ধা, শ্রমিক আন্দোলনের অগ্রণী নেতা,আমার ছোট ভাই-সম রমেন পান্ডের মৃত্যুর আকস্মিক সংবাদে আমি শোকস্তব্ধ।’’