সাবধান, অ্যাসবেসটসের ঘরে থাকলে আপনারও হতে পারে এনসেফেলাইটিস। অবাক হচ্ছেন? আসলে দিল্লীর অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স (এইমস)-এর চিকিৎসক দল তাঁদের রিপোর্টে জানিয়েছেন, অপুষ্টি নয়। আসল কারণ নাকি অ্যাসবেসটস! ‘অ্যাসবেসটস’ ঘরে বসবাসের কারণে এনসেফেলাইটিসের প্রকোপ বাড়ছে! যার জেরে বিহারে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৫০-র ওপর।
জানা গেছে, ওই চিকিৎসক দল মুজফফরপুরে আক্রান্ত শিশুদের বাড়ি খতিয়ে দেখেছে। শিশুদের মৃত্যুর কারণ হিসাবে কয়েকটি বিষয় উঠে এসেছে। যার মধ্যে অপুষ্টি, অ্যাসবেসটসের ঘর ও প্রশাসনিক গাফিলতি অন্যতম কারণ। চিকিৎসক দলের প্রধান ডক্টর হরজিৎ সিং ভাট্টি জানান, প্রচণ্ড গরম এবং অপুষ্টির জন্য শিশুদের জীবন সঙ্কটের মুখে।
চিকিৎসকদের যুক্তি, পর্যাপ্ত পরিমাণে রেশন না পাওয়ায় অপুষ্টিতে ভুগছে শিশুরা। প্রচণ্ড গরমে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে ওআরএস (ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন) পর্যন্তও মিলছে না। পাশাপাশি, জাপানিজ এনসেফেলাইটিস টিকাও পায়নি ওই শিশুরা। এ কারণে প্রশাসনের গাফিলতিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন চিকিৎসকরা।
পাশাপাশি, তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশুই ‘মেটাবলিক ডিসঅর্ডারে’ আক্রান্ত। শরীরে কোষের ভিতর শক্তি জোগায় সেই মিটোকন্ড্রিয়া সঠিকভাবে কাজ করছে না বলে দাবি চিকিৎসকদের। তবে, লিচু থেকে এনসেফেলাইটেসের প্রকোপ বাড়ার দাবি সম্পূর্ণভাবে উড়িয়ে দিয়েছেন তাঁরা।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, অ্যাসবেসটস ঘর কীভাবে শিশুর শারীরিক অসুস্থতার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে? চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যে সব শিশু এনসেফেলাইটিসে আক্রান্ত, তাদের এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, অ্যাসবেসটস দিয়ে তৈরি তাদের বাড়ি। প্রচণ্ড তাপ বাড়িগুলির মধ্যে। এমনকি রাতেও সে তাপমাত্রা কমছে না। ফলে প্রচণ্ড মস্তিষ্ক প্রদাহের জন্য মৃত্যু হয়েছে ১০ বছরের নীচে এনসেফেলাইটিসে আক্রান্ত শিশুদের। অ্যাসবেসটস ঘরে শিশুদের মস্তিষ্ক প্রদাহ আরও বাড়ছে।