হরিয়ানার বিজেপি সরকারের দুর্নীতি প্রকাশ্যে আনতে তিনি ফাঁস করে দিয়েছিলেন উচ্চমাধ্যমিক স্তরের বৃত্তি কেলেঙ্কারি, আর সেই ‘অপরাধের’ শাস্তি হিসেবে বদলি করে দেওয়া হল আমলা সঞ্জীব বর্মাকে। হ্যাঁ, প্রায় ১৯ কোটি টাকার ওই কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আনায় রাজ্য সরকারের বিরাগভাজন হয়েছেন তিনি। এবং এর ফলস্বরূপ তফসিলি জাতি ও পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের উন্নয়ন দফতর থেকে বদলি করে তাঁকে মহাফেজখানা দফতরের স্পেশ্যাল ডিরেক্টরের পদ দেওয়া হয়েছে।
যদিও বর্মার তথ্যের ভিত্তিতেই মে মাসে রাজ্য ভিজিল্যান্স ব্যুরোকে ওই বৃত্তি কেলেঙ্কারির তদন্তের ভার দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। তফসিলি জাতি ও পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তির টাকা কীভাবে মারা হচ্ছিল, আধার নম্বর পরিবর্তন করে কীভাবে প্রাপ্য নয় এমন পড়ুয়াদের বৃত্তি দেওয়া হচ্ছিল, সে সবই প্রকাশ্যে আনেন সঞ্জীব। হরিয়ানার সোনিপত জেলায় এমনই বেআইনি ভাবে ৩ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকার বৃত্তি হেরফের করা হয়েছিল। পরে তা বেড়ে দাঁড়ায় সাড়ে ১৮ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকায়!
উল্লেখ্য, এখন ছুটিতে আছেন বদলি হওয়া আমলা। পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তির খাতে ৩ বছরের জন্য ২৩৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর স্পেশ্যাল অডিট দাবি করেছেন সঞ্জীব। তাঁর রিপোর্টের ভিত্তিতে মামলা দায়ের হতে এত সময় লাগার প্রতিবাদে চণ্ডীগড় পুলিশের সদর কার্যালয়ের সামনে ধর্নার হুমকি দিয়েছিলেন। তাতে কাজ হয়। মামলা দায়ের হয় ১৩ মে।
রিপোর্টে সঞ্জীব জানিয়েছেন, শুধু সোনিপতেই ১৪ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা কেলেঙ্কারি হয়েছে। প্রাপ্যদের বৃত্তি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে রোহতক, পানিপত ও ফতেহাবাদেও। যদিও বিজেপি সরকারের কেলেঙ্কারি ফাঁস করে সঞ্জীবের বদলি হওয়া নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠতেই তারা এখন বিষয়টিকে রুটিন বদলি বলে চালাচ্ছে। তবে এতেও অস্বস্তি কমেনি গেরুয়া শিবিরের।