দলকে সবসময়েই স্বচ্ছ রাখেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি, তৃণমূলে কেউ যদি কাটমানি নিয়ে থাকেন তাহলে তা যেন অবিলম্বে ফেরত দেন। এবার এই কাটমানি প্রসঙ্গে প্রাণ হারালেন এক তৃণমূল নেতা। অভিযোগের আঙুল উঠল গেরুয়া শিবিরের দিকে। মৃত ওই নেতার নাম পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় (৫৫)।
বড়নীলপুরের দক্ষিণ শক্তিপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন পূর্ণেন্দু। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার এলাকার কয়েকজন তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয়। কাটমানি ফেরতের দাবি জানান। সেইসময় বাড়িতে ছিলেন না পূর্ণেন্দুবাবু। তাঁকে না পেয়ে বাড়িতে তালা লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। কাটমানি ফেরতের দাবিতে লাগানো হয় পোস্টারও। পরিবারের দাবি, তারপর থেকেই পূর্ণেন্দুর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় আত্মীয় পরিজনদের। বারবার ফোন করলেও সুইচড অফ শোনায়। রাতে স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় তৃণমূল নেতার পরিবারের তরফে। এরপর এ দিন সকালে পাল্লা শ্রীরামপুর থেকে উদ্ধার হয় দেহ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে৷ পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ করা হয়েছে।
এই ঘটনায় পরিবার ও তৃণমূলের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে শাসকদল। গতকাল যাঁরা বাড়িতে চড়াও হয়েছিলেন, তাঁরা সবাই বিজেপি কর্মী ছিলেন বলে দল ও পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে। দেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ৷ খুনের অভিযোগ আজ পরিবার ও দলের তরফে থানাতেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।