মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পের দৌলতে, বাংলা আবারও জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন দখল করেছে। এর পাশাপাশি ‘উৎকর্ষ বাংলা’ প্রকল্পও ছিনিয়ে নিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের পুরস্কার। আবার ‘খাদ্যসাথী’ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলার মানুষের জন্য ২ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। ‘সবুজ সাথী’ প্রকল্পে পড়ুয়াদের দেওয়া হচ্ছে সাইকেল। এছাড়া রাজ্যে রয়েছে ‘গীতাঞ্জলি’, ‘যুবশ্রী’, ‘রূপশ্রী’র মতো একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প। এই তালিকায় এবার জুড়তে চলেছে আরেকটি নতুন প্রকল্প। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপ দেওয়ার জন্য এবার ‘ঐক্যশ্রী’ প্রকল্প হাতে নিচ্ছে রাজ্য। এজন্য ইতিমধ্যেই নতুন পোর্টাল চালু করেছে সরকার। এবং ভিডিও কনফারেন্স করে নতুন প্রকল্প ও পোর্টালের বিষয়েও জেলাগুলিকে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় প্রকল্পে সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি পাওয়ার জন্য এতদিন কেন্দ্রীয় পোর্টালে ছাত্রছাত্রীদের আবেদন জানাতে হত। তাতে বৃত্তি পেতে বহু সময়ও লেগে যেও। এবার থেকে রাজ্যের এই পোর্টালে আবেদন করতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। এবং এতে আগের থেকে প্রায় ১০ শতাংশ বেশি স্কলারশিপের টাকা দেওয়া হবে। গত বৃহস্পতিবার রাজ্য সংখ্যালঘু দফতরের আধিকারকরা জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্স করে জানান, রাজ্য সরকার সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপ দেওয়ার জন্য ঐক্যশ্রী নামের নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। যাতে প্রি-ম্যাট্রিক, পোস্ট ম্যাট্রিক ও ম্যারিট কাম মিনস স্কলারশিপ দেওয়া হবে। রাজ্যের যে কোনও স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণীতে পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের বছরে ১১০০ টাকা থেকে ১১ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়া হবে।
পাশাপাশি, পোস্ট ম্যাট্রিক স্কলারশিপের ক্ষেত্রে রাজ্যের স্বীকৃত যে কোনও উচ্চ মাধ্যমিক, আইটিআই, ডিপ্লোমা, স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল, বিএড-সহ অন্যান্য কোর্সে পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের বছরে ১০ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১৫ হাজার ২০০ টাকা দেওয়া হবে। এই দুই ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীর পারিবারিক আয় ২ লক্ষ টাকার মধ্যে হতে হবে। ‘মেরিট কাম মিনস’ স্কলারশিপের ক্ষেত্রে রাজ্যের স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অধীনে থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কারিগরি পেশাগত কোর্সে পড়া, কিংবা রাজ্য বা রাজ্যের বাইরে আইআইটি, আইআইএম, এনআইটি, এনআইএফটি-সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়া ছাত্রছাত্রীদের বছরে ২২ থেকে ৩৩ হাজার টাকা দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে পারিবারিক আয় আড়াই লক্ষ টাকার মধ্যে হতে হবে।